বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রচার করছেন লক্ষ্মী!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লক্ষ্মীকান্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের জিজ্ঞাসা করছেন তাঁরা ঠিকমত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন কি না। জানাচ্ছেন, এখন থেকে যে আর ৫০০ টাকা নয়, ১ হাজার টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মহিলাদের সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অভিনব কায়দায় প্রচার শুরু করল ঘাটাল শহর তৃণমূল কংগ্রেস। লক্ষ্মী নামে এক ব্যক্তিকে শাড়ি পরিয়ে কোমরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ দিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করানো হচ্ছে।
শহরের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) প্রচারের আইকনের নামও লক্ষ্মী, লক্ষ্মী কর্মকার (lakshmi karmakar)। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি। বছর পঞ্চাশের লক্ষ্মীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আঁকার দোকান রয়েছে। প্রায় তিন দশক ধরে বহু ছাত্রছাত্রীর প্র্যাকটিক্যাল ও প্রজেক্টের খাতা রেডি করে দেওয়ার সুবাদে শহরজুড়ে নাম রয়েছে তাঁর। সবার কাছে ‘লক্ষ্মীদা’ নামেই পরিচিত। সেই সঙ্গে নিজেকে তৃণমূলের অন্ধ সমর্থক হিসেবে দাবি করেন তিনি। অরুণবাবু বলেন, সারা বছরই কাজের ফাঁকে দলের কাজ করেন। নির্বাচন এলে কীভাবে ভোট বাড়ানো যায় সেই চিন্তাই লক্ষ্মীর মনে ঘুরঘুর করে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে লক্ষ্মীর মাধ্যমে প্রচার করানো হচ্ছে। সকাল বা বিকেল হাতে সময় পেলেই লক্ষ্মী মেকআপ করে, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, হাতে নেল পালিশ পরে নিয়ে ত্রিরঙা একটি শাড়ি পরে নেন। মাথায় যেহেতু ছোট চুল তাই মাথা ঢাকেন তেরঙা উত্তরীয় দিয়ে। বাম দিকের কোমরে থাকে একটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যে দিন যে ওয়ার্ডে প্রচারে যান সেই ওয়ার্ডের মহিলা কর্মীদের নিয়ে একের পর এক বাড়িতে যান। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূলের নেত্রী পাপিয়া মুখোপাধ্যায়, চামেলি কাপাস, সুজাতা পাত্র প্রমুখ বলেন, দলের মধ্যে লক্ষ্মীদা ছাড়া সবাই মহিলা হওয়ার কারণে আমাদের মহিলা মহলে ঢুকে যেতে কোনও সমস্যা হয় না। সেখানেই আমরা মহিলাদের নানা প্রকল্পের কথা শুনিয়ে আসি। পাপিয়া বলেন, এভাবে আমরা প্রচারে বেরিয়ে সত্যি খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি।