বড়বাজারে তুঙ্গে নেতাদের মুখের ছবি-সহ টি-শার্টের চাহিদা, পছন্দের তালিকায় শীর্ষে মমতাই
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একটু একটু করে চড়ছে ভোটের পারদ। কলকাতার বড়বাজারে দেদার বিকোচ্ছে নেতাদের মুখের ছবি-সহ গেঞ্জি, টি- শার্ট। মোদী-মমতা কার ছবি নেই টি-শার্টে! হাত থেকে কাস্তে-হাতুড়ি কোন ছবি নেই! চাহিদার নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে, তাঁর মুখ ছাপা গেঞ্জি কিনতে খরচ ১০০ টাকা। কোথাও কোথাও দাম ১৬০ টাকা। এর অর্ধেক দামে বিকোচ্ছে মোদীর মুখের ছাপ দেওয়া টি শার্ট। সেগুলির দাম ৬০ টাকা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ছাপা-সহ গেঞ্জি টেক্কা দিয়েছে মোদীকেও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ ছাপ গেঞ্জির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। নির্বাচনের আবহে, প্রিয় নেতানেত্রীকে বুকে আগলে রেখে ঘুরতে চান মানুষজন।
ভোটের বাজারে মমতা-মোদি-অভিষেকের টি শার্টের চাহিদা বেড়েই চলেছে। বামেরা তারা-হাতুড়ি-কাস্তে মার্কা গেঞ্জি কিনছেন। কর্মী-সমর্থক, সাধারণ মানুষও কিনছেন। বিক্রেতাদের কথায়, মার্কেটে সবথেকে এগিয়ে ‘বাংলার মেয়ে’ মমতা। গেঞ্জি ছাড়াও শাড়ি, পতাকা, ছাতা, সবেতেই এগিয়ে তৃণমূল। জোড়াফুলের পরই বামেরা; লাল পতাকা, গেঞ্জি, ছাতা, টুপি দেদার বিকোচ্ছে বড়বাজার ও অন্যান্য পাইকারি বাজারে। সবুজ, লাল, তেরঙ্গা, গেরুয়া পতাকা বিকচ্ছে দেদার। জোড়াফুল-হাত-হাতুড়ি-পদ্মফুল ছাপ শাড়ি বা টুপি, বড়বাজারের দোকানে দোকানে ঝুলছে। মোদী-মমতার মুখোশও বিক্রি হচ্ছে। মোদী, মমতা, অভিষেকের ১০০ পিস মুখোশের দাম ৪০০ টাকা। বিভিন্ন দলের ব্যাচের দাম চার থেকে দশ টাকা। রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীক দেওয়া শাড়ির দাম ১৫০ থেকে ২০০। মাপ অনুযায়ী পতাকার দাম সাড়ে চার থেকে সাড়ে সাত টাকা। নেতা-নেত্রীর ছবি আঁকা ৮০ পিস সানগার্ডের দাম ৬০ টাকা, টুপি চার থেকে ১০, বাইক ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড এক পিস আট টাকা।
বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, যাদবপুর, মথুরাপুর, জয়নগর, হাওড়া, কৃষ্ণনগর, হুগলি থেকে তৃণমূলের পতাকা, গেঞ্জি, টুপি, সানগার্ডের অর্ডার এসেছে। বিক্রেতাদের কথায়, সব থেকে কম অর্ডার এসেছে বিজেপি থেকে।