‘পাপিও কি পসন্দ ভাজপা’, BJP-কে ওয়াশিং মেশিন খোঁচা তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়াশিং মেশিন দেখিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালো তৃণমূল। সাম্প্রতিক অতীতে বারবার দেখা গিয়েছে বিরোধী নেতাদের নানান সময়ে চোর, দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়েছে বিজেপি। তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রের সংস্থা, তারপর সংশ্লিষ্ট নেতা দল বদলে পদ্ম শিবিরে যেতেই বন্ধ হয়ে যায় একের পর এক তদন্ত। অভিযোগ কার্যত ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ ক্লিনচিট অবধি পেয়ে যান। হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে শুভেন্দু অধিকারী অন্যদিকে নারায়ণ রানে থেকে অজিত পাওয়ার, সবক্ষেত্রেই ছবিটা এক। এখানেই তৃণমূলের সওয়াল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করছে বিজেপি।
তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন কুনাল ঘোষ ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয়ভাবে তৃণমূলের দাবি, এনআইএ, আয়কর, ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। একদিকে, কর্পোরেট সংস্থাকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচনী বন্ড আদায় করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের দল ভাঙানো হচ্ছে। ভয়ে ভয়ে কেউ কেউ দল পাল্টাচ্ছেন, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে চলে যাচ্ছে। আর যাঁরা বিজেপির কাছে আত্মসমর্পন করছেন না তাঁদের কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল তাই বাংলায় তৃণমূলের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের ইডি, সিবিআইকে হেনস্থা করা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা নাকি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে লিস্টও তুলে দিচ্ছেন, কোন কোন তৃণমূল নেতাকে ডাকতে হবে; তা জানিয়ে। এমনই অভিযোগ। তৃণমূলের সাফ কথা, শুভেন্দুকে চোর বলেছিল বিজেপি, বিজেপিই ভিডিও দেখিয়েছিল। তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। এফআইআরে শুভেন্দুর নাম ছিল। তারপর গ্রেপ্তারির ভয় দল পাল্টাতেই, সব তদন্ত থমকে গেল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান লিজ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ইউপিএ জমানায় প্রফুল প্যাটেল ছিলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী। সম্প্রতি মামলায় সিবিআই একটি ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ পেশ করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের কোনও ভিত্তি মেলেনি তদন্তে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ক্লিনচিট দিয়েছে তাঁকে। এখানেই তৃণমূলের প্রশ্ন এটা কি দলবদলের পুরস্কার? ২০১৭ সালের মে মাসে সিবিআই প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শরদ পাওয়ারের সঙ্গ ছেড়ে প্রফুল প্যাটেল যোগ দেন এনডিএ-তে। ২০২৪ সালের ২৮ মার্চ সিবিআই তাঁকে ক্লিনচিট দিয়ে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পদ্ম পার্টিকে ওয়াশিং মেশিন আখ্যা দিচ্ছে তৃণমূল। তাদের মতে, বিজেপিতে যাওয়ার আগে অবধি সবাই দোষী। বিজেপিতে গেলেই সব দোষ সাফ।