কালো টাকা নির্মূল হল কোথায়? নোটবন্দির উদ্দেশ্য কী? মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিচারপতি নাগরত্না
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ফের সওয়াল উঠল নোট বাতিল ঘিরে। নোট বাতিলের নেপথ্যে মোদী সরকারের উদ্দেশ্য কী ছিল? প্রশ্ন তুললেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি ভি নাগরত্না। হায়দ্রাবাদের নালসার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার ‘সংবিধান সম্মেলন, ২০২৪’-এ বক্তৃতাতে বিচারপতি নাগরত্না নোট বাতিলের প্রসঙ্গ তোলেন। গত বছর এই সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে একমাত্র বিচারপতি নাগরত্নাই নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।
এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ৯৮ শতাংশ বাতিল নোটই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। তাহলে কালো টাকা নির্মূল হল কোথায়? কেন্দ্র কীভাবে সেই দাবি করতে পারে? তিনি আরও বলেন, তাঁর ধারণা, কালো টাকাকে সাদায় পরিণত করারই একটা ভাল পন্থা ছিল নোট বাতিল। বিচারপতি আরও বলেছেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আইন মেনে হয়নি। এতই তাড়াহুড়ো করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, অনেকে বলেছিল এই ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীও জানতেন না।
বিচারপতির কথায়, ‘২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় দেশের মোট মুদ্রার ৮৬ শতাংশই ছিল ৫০০ ও ১০০০ টাকা। সেই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার নজর দেয়নি। নোট বাতিলের পর আয়কর দপ্তর কী পদক্ষেপ করেছিল, তাও জানা নেই। সাধারণ মানুষের দুর্দশা তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রায়ের ক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বক্তৃতায় রাজ্যপালদের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন বিচারপতি নাগরত্না। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যপালরা বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে পড়ছেন, যা কাম্য নয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির এহেন মন্তব্যের পরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বিচারপতির বক্তব্যের পর এটা পরিষ্কার যে, নোট বাতিল আসলে মোদী সরকারের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। বিশাল দুর্নীতি। এর মাধ্যমে বিপুল কালো টাকাকে সাদায় পরিণত করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় দেশের অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র পেশ করেছিল মোদী সরকার। তাতে বিজেপি জমানার সাফল্যের সাতকাহন থাকলেও, নোট বাতিলের কথা উল্লেখ করা হয়নি।