মিলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত ভাতা, আনন্দে মাতলেন আরামবাগের মেয়ে-বউরা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন, কোনও ভয় নেই। দিদির দেওয়া টাকাই বিপদ-আপদের সম্বল, এমনই বক্তব্য আরামবাগের মহিলাদের। রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়। নয়া অর্থবর্ষে তা চালু হয়েছে। আজ থেকেই মিলছে বর্ধিত হারে ভাতা। তাতেই অত্যন্ত খুশি বাংলার মেয়েরা। দিকে দিকে আনন্দে মেতে উঠছেন তাঁরা।
আরামবাগে মেয়েদের দেখা গিয়েছে মাটির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হাতে। টাকা বৃদ্ধিতে তাঁরা খুশি। নিজেরাই বলছেন, তাঁরা রাজনীতি বোঝেন না। তবে ভরসা রাখেন শুধু মমতার উপরেই। বহু পরিবারেই মহিলারা পরের বাড়িতে কাজ করেন। সারা মাস খেটে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পান। সরকারের রেশন ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই ভরসা তাঁদের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফলে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন তাঁরা।
গৃহবধূরাও আনন্দিত। বলছেন, অসুখ-বিসুখ হলে দিদির দেওয়া টাকায় ওষুধ কেনেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান, এবার থেকে বেশি টাকা পাবেন। রাজনীতি বোঝেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরসা করেন।
কেউ কেউ বলছেন, দিদির দেওয়া টাকা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পিছনে খরচ করতাম। ছেলেমেয়েরা ভাল খাবারের জন্য বায়না করত। দিতে পারতাম না। এবার থেকে ওদের পছন্দমতো খাবার মুখে তুলে দিতে পারব। বিরোধীদের বিদ্ধ করে মায়ের বক্তব্য, এটাকে ‘ভিক্ষা’ বলে অপবাদ দেয় কেউ কেউ। খুব গায়ে লাগত তাঁদের। এখন এসব কথা পাত্তা দেন না বলেই জানান তাঁরা। সাধারণ মহিলারা বলছেন, দিদি তাঁদের কাছে ভরসার প্রতীক। সাধারণ খেটে খাওয়া মহিলাদের জীবন বদলে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।