হেভিওয়েট তারকা প্রচারকরা কী খাবেন, কী খাবেন না তা নিয়ে পদক্ষেপ কমিশনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হেভিওয়েট তারকা প্রচারকরা কী খাবেন, কী খাবেন না তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলা। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) সময় লাগাতার প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের নিরাপত্তা তো বটেই হেভিওয়েটদের শারীরিক সুরক্ষার দিকটিও খেয়াল রাখতে পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট প্রচারে আসা ভিভিআইপি-ভিআইপিদের জন্য নিযুক্ত থাকছে ১৫ খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকের একটি বিশেষ দল। পরিবেশনের আগে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রীদের খাবার যাচাই করবেন। এবং চেখেও দেখবেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোটগ্রহণের প্রায় দু’মাস দেরি। এখনও রাজনৈতিক দলগুলির ওজনদার নেতারা প্রচারে আসা শুরু করেননি। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তার জন্য পুলিসি বন্দোবস্ত থেকে খাদ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা জেলাকে দু’টি স্বাস্থ্য জেলায় ভাগ করে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) স্বাস্থ্য জেলায় রয়েছেন ন’জন অফিসার। বাকি ছ’জন ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলায় থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্যান্য রাজ্যের প্রধানরা গত বিধানসভা ভোটে এই জেলায় প্রচারে এসেছিলেন। এবারও তাঁদের অনেকে আসতে পারেন। তীব্র গরমে এই হেভিওয়েটদের শারীরিক সুস্থতার দিকে অতিরিক্ত নজর দিচ্ছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এ কারণে দুই স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নোডাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ভোটকর্মীদের ট্রেনিং শুরু হবে। গরমে কেউ যাতে অসুস্থ না হয়ে পড়েন তার জন্য একাধিক মেডিক্যাল টিম গঠন থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে খাদ্য সুরক্ষা অফিসারদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ দায়িত্বভার। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘একজন হেভিওয়েট নেতার একাধিক জায়গায় সভা থাকতে পারে। একজন অফিসারের পক্ষে সব জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব নয়। তাই যেসব জায়গায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা প্রচারে যাবেন, তার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে এক অফিসার সেখানে পৌঁছে যাবেন।’ জানা গিয়েছে, ওজনদার নেতাদের সাধারণত শুকনো খাবার দেওয়া হয়। কোথাও রান্না খাবার খেতেও অনুরোধ করা হয়। সে খাবারগুলির গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা পরখ করে দেখবেন এই স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।