দেশ বিভাগে ফিরে যান

‘ওয়াশিং মেশিন’ তত্ত্ব ঠিক! শিবির বদলেই ২৫জন বিরোধীনেতার ED, CBI মামলা হিমঘরে?

April 4, 2024 | 6 min read

শিবির বদলেই ২৫জন বিরোধীনেতার ED, CBI মামলা হিমঘরে?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বিজেপি ও মোদী একে, ওকে, তাঁকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে বেড়ান। প্রকাশ্যে দাবি করেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবেই। কিন্তু পরিসংখ্যান বলে উল্টো কথা। পদ্ম পতাকা হাতে নিতেই দুর্নীতিগ্রস্ত বিরোধী নেতাদেরই সাফ করে দেয় বিজেপির ‘ওয়াশিং মেশিন’! ২০১৪ থেকে এভাবে কলঙ্কমুক্ত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন বিরোধী নেতা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলছে, মোদী আমলে ২৫জন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে ১০ জন কংগ্রেসের, চারজন করে এনসিপি ও শিবসেনার, তিনজন তৃণমূল কংগ্রেসের, টিডিপির দু’জন এবং একজন করে নেতা সমাজবাদী পার্টি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের। তদন্ত শুরু হতে না হতেই তাঁরা দল বদলে বিজেপিতে চলে যান। তারপরই তিনজনের বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে চলা তদন্তও হিমঘরে চলে গিয়েছে।

চলতি বছরেই লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন ছ’জন বিরোধী নেতা। কেউ কেউ ওয়াশিং মেশিনের মহিমা টেরও পেয়েছেন। বিরোধী নেতা-নেত্রীদের বাগে আনতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। আদতে বিরোধীদের দুর্বল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। দেখা যাচ্ছে, বিজেপি যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও না কোনও সময়ে অভিযোগ এনেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। তাঁদেরই দলে নিয়েছে এবং তারপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অভিযোগ থেকে ক্লিনচিট পেয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, নারায়ণ রানে, অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

দেখে নেওয়া যাক কারা বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাফ হলেন?

অজিত পাওয়ার

দলবদল: ২০২৩ সালে এনসিপি ভেঙে, দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ।

মামলা: মহারাষ্ট্র রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে অজিত পাওয়ার, শরদ পাওয়ার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ইকোনমিক অফেন্স উইং FIR করে। পরবর্তীতে ইডি-র তদন্তে কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত পাটিল, দিলীপ রাও দেশমুখ এবং প্রয়াত মদন পাতিল, এনসিপির ঈশ্বরলাল জৈন এবং শিবাজি রাও নালাওয়াড়ে এবং শিবসেনার আনন্দ রাও আদসুলের নাম এই অভিযোগে যুক্ত করা হয়।

ক্রোনলজি:

আগস্ট ২০১৯: মুম্বাই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং এফআইআর করে।
সেপ্টেম্বর ২০১৯: ইডি তদন্ত শুরু করে।
অক্টোবর ২০২০: ইকোনমিক অফেন্স উইং ক্লোজার রিপোর্ট ফাইল করে, যাকে চ্যালেঞ্জ করে ইডি।
এপ্রিল ২০২২: অজিত পাওয়ারের নাম না উল্লেখ করে, ইডি চার্জশিট ফাইল করে।
জুন ২০২২: শিবসেনা বিভক্ত হয়, শিন্দে বিজেপির সঙ্গে এনডিএ সরকার গঠন করে।
অক্টোবর ২০২২: ইকোনমিক অফেন্স উইং ফের বড় পরিসরে তদন্ত শুরু করে।
জুলাই ২০২৩: অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকারে যোগ দেন।
জানুয়ারী ২০২৪: ইকোনমিক অফেন্স উইং দ্বিতীয় ক্লোজার রিপোর্ট ফাইল করে।
বর্তমান অবস্থা: ইডি, ইকোনমিক অফেন্স উইং দ্বিতীয় ক্লোজার রিপোর্টে আদালতে হস্তক্ষেপের আবেদন করেছে৷

প্রফুল্ল প্যাটেল

দলদবল: ২০২৩ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ।

মামলা: প্রাক্তন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এয়ার ইন্ডিয়ার ১১১টি বিমান কেনায় দুর্নীতির পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স সংযোজনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে CBI ও ED তদন্ত চলছে। আরও অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বিদেশী এয়ারলাইন্সকে লাভজনক রুট পাইয়ে দেওয়া, বিদেশী বিনিয়োগে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট খোলা।

ক্রোনলজি:

মে ২০১৭: এয়ার ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স সংযুক্তির পর FIR দায়ের করে সিবিআই।
মে ২০১৯: ইডি চার্জশিটে প্রফুল্ল প্যাটেলের নাম উল্লেখ করে।
জুন ২০২৩: প্রফুল্ল প্যাটেল NDA-তে যোগ দেন।
মার্চ ২০২৪: CBI ক্লোজার রিপোর্ট ফাইল করে।
বর্তমান অবস্থা: ক্লোজার রিপোর্ট আদালতে মলতুবি রয়েছে।

হিমন্ত বিশ্বশর্মা

দলবদল: ২০১৫ কংগ্রেস থেকে বিজেপি

মামলা: সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করে হিমন্তের বিরুদ্ধে৷ সিবিআই ২০১৪ সালে তাঁর বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালায় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গোয়াতে জল প্রকল্পের চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে লুই বার্জার মামলায় তাঁর নাম যুক্ত হয়েছিল।

ক্রোনলজি:
আগস্ট ২০১৪: সিবিআই হিমন্তের বাসভবনে অভিযান চালায়।
নভেম্বর ২০১৪: সিবিআই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আগস্ট ২০১৫: বিজেপিতে যোগদান করে হিমন্ত।
বর্তমান অবস্থা: কেস খোলা কিন্তু কোনও পদক্ষেপ হয়নি।

নবীন জিন্দাল

দলবদল: ২০২৪ সালে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে।

মামলা: হরিয়ানার শিল্পপতি নবীন জিন্দালকে দুটি পৃথক কয়লা ব্লক বরাদ্দের ক্ষেত্রে, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে সিবিআই চার্জশিট দেয়৷ ইডি, তার বিরুদ্ধে আর্থিও দুর্নীতির তদন্ত করেছিল, সেই মামলাতেও একটি চার্জশিট দাখিল হয়েছিল৷ ইডি ২০২২ সালের এপ্রিলে জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ারে অভিযান চালায়।

ক্রোনলজি:
জুন ২০১৩: সিবিআই কয়লা ব্লকের FIR-এ জিন্দালের নাম।
২০১৬-২০১৭: চার্জশিট
এপ্রিল, ২০২২: নতুন মামলায় ইডি অভিযান।
মার্চ ২০২৪: বিজেপিতে যোগদান।
বর্তমান অবস্থা: ইডি তদন্ত চলছে।

শুভেন্দু অধিকারী

দলবদল: ২০২০ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান।
মামলা: নারদা স্টিং অপারেশন মামলায় অভিযুক্ত। ভিডিওতে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল।

ক্রোনলজি:

এপ্রিল ২০১৭: নারদা স্টিং মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর নামে সিবিআই এফআইআর।
এপ্রিল ২০১৯: সিবিআই, লোকসভার স্পিকারের কাছ থেকে বিচারের অনুমতি চেয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী সে’সময় লোকসভার সাংসদ ছিলেন
ডিসেম্বর ২০২০: বিজেপিতে যোগদান।
বর্তমান অবস্থা: এখনও স্পিকারের অনুমোদনের অপেক্ষায়।

তাপস রায়

দলবদল: ২০২৪ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান।

মামলা: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে তাপস রায়ের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়।

ক্রোনলজি:
জানুয়ারি, ২০২৪: তাপস রায়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান।
মার্চ, ২০২৪: বিজেপিতে যোগ দান। উত্তর কলকাতায় বিজেপির টিকিট লাভ।
বর্তমান অবস্থা: কেস চলছে।

এছাড়াও রয়েছেন-

প্রতাপ সারনায়েক

দলবদল: ২০২২ সালে শিবসেনা থেকে এনডিএ।

মামলা: একটি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে তার কোম্পানির আর্থিক লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগে এবং ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (এনএসইএল) জালিয়াতি মামলায় ইডি প্রতাপের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।

ক্রোনলজি:

নভেম্বর ২০২০: ইকোনমিক অফেন্স উইং-র FIR-এর ভিত্তিতে ইডি অভিযান চালায়।
জানুয়ারী ২০২১: ইকোনমিক অফেন্স উইং ফাইল ক্লোজার রিপোর্ট দেয়।
জুন ২০২২: সারনায়েক এনডিএ-তে যোগ দেন।
সেপ্টেম্বর ২০২২: আদালত ক্লোজার রিপোর্ট গ্রহণ করে। ইডি কেস কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে।
বর্তমান অবস্থা: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় কোনও পদক্ষেপ নেই, অন্য মামলায় তদন্ত চলছে।

হাসান মুশরিফ:

দলবদল: ২০২৩ সালে এনসিপি থেকে এনডিএ যোগ দান।

মামলা: সার সেনাপতি সান্তাজি গোরপোডে সুগার ফ্যাক্টরি আর্থিক কেলেঙ্কারি। (ইডি কেস)

ক্রোনলজি:
ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০২৩: ইডি তিনবার মুশরিফের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়।
জুলাই ২০২৩: মুশরিফ অজিত পাওয়ারের সঙ্গে এনডিএ-তে যোগ দেন।
বর্তমান অবস্থা: কেস চলছে কিন্তু কোনও পদক্ষেপ হচ্ছে না।

ভাবনা গাওলি

দলবদল: শিবসেনা, ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে যোগ।
মামলা: যাভাত্মাল-ওয়াসিম ট্রাস্ট আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২০২০ সাল থেকে ইডি তদন্ত করছে।

ক্রোনলজি:

আগস্ট ২০২১: ইডি তল্লাশি অভিযান চালায়।
সেপ্টেম্বর ২০২১: ইডি তাঁর একজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার দাও।
নভেম্বর ২০২১: ইডি চার্জশিট দেয়।
জুন ২০২২: এনডিএ-তে যোগদান।
বর্তমান অবস্থা: ইডি তরফে এখনও কোনও চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।

যামিনী এবং যশবন্ত যাদব (স্বামী-স্ত্রী)

দলবদল: ২০২২ সালে শিবসেনা থেকে এনডিতে যোগ।

মামলা: ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) লঙ্ঘনের অভিযোগে ইডি তদন্ত করছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জড়িত অন্তত ছয়টি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

ক্রোনলজি:

ফেব্রুয়ারী ২০২২: আয়কর অভিযান।
মে ২০২২: ইডি মামলা নথিভুক্ত করার পর স্বামীকে তলব।
জুন ২০২২: এনডিএ-তে যোগদান।
বর্তমান অবস্থা: মামলার কোনও অগ্রগতি নেই।

সিএম রমেশ

দলবদল: ২০১৯ সালে টিডিপি থেকে বিজেপিতে যোগদান।

মামলা: ২০১৮ সালের অক্টোবরে, আয়কর বিভাগ একশো কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে তল্লাশি অভিযান চালায়।

ক্রোনলজি:

অক্টোবর ২০১৮: আয়কর অভিযান।
জুন ক০১৯: বিজেপিতে যোগদান।
বর্তমান অবস্থা: পদ্মে যোগের পর মামলা থমকে রয়েছে।

রনিন্দর সিং (পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের পুত্র)


দলবদল: ২০২২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ।

মামলা: ফেমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইডি তদন্ত। ২০১৬ সালে ED-এর সামনে হাজির হন রনিন্দর। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, সিবিআই অমরিন্দর সিংয়ের জামাই গুরপাল সিংকে ৯৮ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ করে।

ক্রোনলজি:

নভেম্বর ২০২০: রনিন্দরকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে।
নভেম্বর ২০২১: রনিন্দরের পিতা অমরিন্দর কংগ্রেস ছাড়েন।
সেপ্টেম্বর ২০২২: অমরিন্দর বিজেপিতে যোগ দেন।
বর্তমান অবস্থা: মামলার কোনও অগ্রগতি নেই।

সঞ্জয় শেঠ

দলবদল: সমাজবাদী পার্টি থেকে ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দান।
মামলা: ২০১৫ সালে, আয়কর দপ্তর সঞ্জয় শেঠের কোম্পানি শালিমার কর্পোরেশনের অফিসে অভিযান চালায়।

জুন ২০১৫: কোম্পানিতে আয়কর দপ্তরের অভিযান।
আগস্ট ২০১৯: বিজেপিতে যোগদান।
ফেব্রুয়ারি ২০২৪: বিজেপি উত্তরপ্রদেশ থেকে সঞ্জয় শেঠকে রাজ্যসভায় পাঠায়।
বর্তমান অবস্থা: মামলা বন্ধ হয়নি কিন্তু কোনও অগ্রগতি নেই।

এছাড়াও আছেন কে গীতা (ওয়াইএসআরসিপি), ছগন ভুজবল (এনসিপি), কৃপাশঙ্কর সিংহ (কংগ্রেস), দিগম্বর কামথ (কংগ্রেস), অশোক চহ্বাণ (কংগ্রেস), অর্চনা পাটিল (কংগ্রেস), গীতা কোড়া (কংগ্রেস), বাবা সিদ্দিকি (কংগ্রেস), জ্যোতি মির্ধা (কংগ্রেস) এবং সুজনা চৌধরি (টিডিপি)। প্রত্যেককে বিজেপিতে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো কার্যত হিমঘরে চলে গিয়েছে।

কে গীতা
ছগন ভুজবল
কৃপাশঙ্কর সিংহ

এখানেই প্রশ্ন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই বিরোধী নেতারা কেন বিজেপিতে যোগ দেন? পদ্মে যোগ দিলেই কেন ইডি, সিবিআই, আয়কর আর এঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে না? এজেন্সিগুলির তদন্তে এহেন শীতঘুমের কারণ কী?

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#washing machine, #turncoats, #washing bhajpa, #bjp

আরো দেখুন