রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সীতার জীবন-যন্ত্রণাকে প্রচারে তুলে ধরছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ

April 5, 2024 | < 1 min read

সীতার জীবন-যন্ত্রণাকে প্রচারে তুলে ধরছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: প্রচারে সীতার জীবন-যন্ত্রণাকে তুলে ধরছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। মহিলাদের জানাচ্ছেন মা সীতার কথা। দুঃখীনি সীতার কাহিনি বলে ভাল সাড়াও পাচ্ছেন জোড়াফুল প্রার্থী। কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছেন গেরুয়া পার্টির লোকেরা।

বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর শহরের নানান ওয়ার্ডে প্রচার করেন কীর্তি। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। কীর্তি আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, বিজেপি জয় শ্রীরাম বললেও, কোনওদিন জয় সীয়ারাম বলে না। মহিলাদের উদ্দেশ্য সীতার কাহিনি বলে চলেন তিনি। তাঁর কথায়, মা সীতার জীবন নিশ্চয় শুনেছেন। তাও আর একবার শুনুন। সীতার কিন্তু বনবাস হয়নি। শ্রীরামচন্দ্রের বনবাস হলে তিনি বললেন, স্বামীর সেবাই আমার ধর্ম। তিনিও তাঁর সঙ্গে বনবাসে গেলেন। রামচন্দ্র যখন ফিরে এসে রাজা হলেন, মাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হল। লব-কুশকে নিয়ে জীবন যুদ্ধ শুরু হল। মা সীতার এই ত্যাগ কোনওদিন দেখতে পায়নি বিজেপি। আরএসএসও কোনওদিন দেশের মেয়েদের ত্যাগ-তিতিক্ষাকে সামনে আনেনি। তাই দিলীপ ঘোষের মতো মানুষ মায়েদের অপমান করতে সাহস পান।

বিজড়া, শোভাপুর, উইলিয়াম কেরি থেকে আইনস্টাইন অ্যাভিনিউতে এদিন বর্ণাঢ্য মিছিল করেন কীর্তি। ভিড় ছিল সর্বত্র। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে কখনও হুড খোল জিপ, কখনও পায়ে হেঁটে প্রচার করেছেন তিনি। পুষ্পবৃষ্টি হচ্ছে তাঁকে লক্ষ্য করে। তিনিও কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রচারে বেজে চলছে তৃণমূলের থিম সঙ। গানের তালে পা মেলাচ্ছিলেন বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। একঝাঁক ঢাকিও ছিলেন, ঢাকের তালে মায়ের কোলেই নেচে উঠেছিল একটি শিশু। কীর্তিও তার কাছে গিয়ে নাচতে শুরু করেন। প্রতিটি সভাতেই তিনজ মা সীতার জীবন-যন্ত্রণার কথা বলছেন। মন্ত্রমুগ্ধের মতো সীতা-কাহিনি শুনছেন মহিলারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #Trinamool Congress, #Kirti Azad, #Political campaign, #sita life

আরো দেখুন