রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ক্রমেই বাড়ছে বাইক-ট্যাক্সির চাহিদা, স্পষ্ট নীতির দাবি সরকারের কাছে

April 8, 2024 | 1 min read

ক্রমেই বাড়ছে বাইক-ট্যাক্সির চাহিদা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিল্প উপদেষ্টা সংস্থা কেপিএমজি সাম্প্রতিক বাইক-ট্যাক্সি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। তাদের দাবি, তুলনামূলক কম খরচে দ্রুত ও স্বচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছতে বাইক-ট্যাক্সির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। আগামীতে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বাইক-ট্যাক্সি অন্যতম সেরা জায়গা নিতে পারে, এমনই অনুমান তাদের। অনেকেই বলছেন, সরকারের স্পষ্ট নীতি থাকলে, এই ব্যবস্থা আরও বেশি সুবিধাজনক হবে।

কেপিএমজি’র হিসেব, ২০১৯ সালে দেশে প্রায় ১৪ কোটি ১০ লক্ষ বার মানুষ বাইক-ট্যাক্সি চড়েছিলেন। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ২৮ কোটি ১০ লক্ষ। আরও বেড়ে ২০২৩ সালে হয় ৩১ কোটি ৮০ লক্ষ। ব্যক্তিগতস্তরে অনেকেই নিজের বাইক এই কাজে ব্যবহার করেন। ফলে রাইডের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বাইক-ট্যাক্সি চালকরা বলছেন, সরকারের এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নীতি না-থাকায়, কিছু আইনগত সমস্যা হয়। বছরে ১০০০-১২০০ টাকা পারিমট ফি গুনতে রাজি ৮৩ শতাংশ বাইক-ট্যাক্সি চালক।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৫ শতাংশ মানুষ বাইক-ট্যাক্সির (Bike Taxi) সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। সমীক্ষক সংস্থার ধারণা, এক্ষেত্রে প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষের বাইক-ট্যাক্সি চালানোর কাজে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সমীক্ষায় দাবি, সিএনজি (CNG) এবং ডিজেল (Disel) চালিত যানবাহনের চেয়ে বাইক-ট্যাক্সিগুলি যথাক্রমে ১২ ও ৬০ শতাংশ কম দূষণ ছড়ায়। ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৩৫ শতাংশ দু’চাকার গাড়ি বৈদ্যুতিক হবে। আইনগতভাবে ও সুরক্ষার প্রশ্নে যাত্রী ও চালকদের পাশে দাঁড়াতে সঠিক নীতিগ্রহণ জরুরি বলেই মনে করছে সমীক্ষক সংস্থা কেপিএমজি। মনে করা হচ্ছে, আগামীতে দূষণমুক্ত পরিবহণে বাইক-ট্যাক্সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মেট্রোরেল, বাস বা অটোর তুলনায় যাত্রীকে গন্তব্যের সবেচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে দিতে পারে বাইক-ট্যাক্সি, তাই যাত্রীরা এই পরিবহণ মাধ্যমকে বেশি করে পছন্দ করছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #Bike Taxi

আরো দেখুন