উলুবেড়িয়ায় সাজদা আহমেদের জয় নিয়ে নয়, কত ‘লিড’ পাবেন তা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় বিধায়করা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগেই উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসাবে সাজদা আহমেদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।
তৃণমূলের হাওড়া গ্রামীণ জেলার যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে, সেই সাত বিধায়ক সাজদা আহমেদের জয় সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি কে কত মার্জিনে ‘লিড’ দিতে পারেন প্রার্থীকে, সেই প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। সবারই লক্ষ্য বেশি লিড দিয়ে প্রথম স্থানে থাকা। উলুবেড়িয়ার তিনটি— উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা ও উদয়নারায়ণপুর, এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই সাতটি কেন্দ্রই দখল করেছিল তৃণমূল। এমনকী, পঞ্চায়েত নির্বাচনে উলুবেড়িয়া উত্তর ও আমতা কেন্দ্রের একটি করে পঞ্চায়েত ছাড়া বাকি সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ আসনে জয়ী হয়েছিল জোড়াফুল শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনে উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৫৯ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। সেবার সব থেকে বেশি লিড দিয়েছিল বাগনান। তারপরে একে একে ছিল উদয়নারায়ণপুর, আমতা, শ্যামপুর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, উলুবেড়িয়া পূর্ব, উলুবেড়িয়া উত্তর। বিধায়করা এবার যে যাঁর এলাকা থেকে মার্জিন বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছেন।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, নির্বাচনে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। আর জনসংযোগের ক্ষেত্রে সাংসদের থেকে বিধায়করা যে এগিয়ে থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান সবাই।