জালিয়াতি করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার BJP-র তমলুকের বুথ সভাপতি
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: গৃহবধূদের জন্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এবার লক্ষ্মীদের টাকা চলে যাচ্ছিল নারায়ণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। খানাকুলের বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিজেপির বুথ সভাপতি। ধৃত ব্যক্তি স্বীকারও করেছেন তিনি টাকা পেয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, হুগলির খানাকুলের দু’নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে তথ্য কারচুপি করে বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ তার ছেলে ও কয়েকজন লক্ষীর ভাণ্ডার পেতেন। খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষের খানাকুল থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে যায় পুলিশ। শ্রীকান্ত দাস বাড়িতে ছিলেন না। শ্রীকান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার হরকুলি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসের ছেলে। খানাকুল বিডিও অফিসে ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন শ্রীকান্ত। সেই সুবাদে
তিনি নজের নামে ও বাবার নামে তিনি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
বাড়িতে না থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিডিওর অভিযোগে ভিত্তিতে শ্রীকান্ত দাসের বাবা অর্থাৎ বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারচুপি করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তোলার অপরাধে, স্থানীয় গোপাল জানা ও সনাতন জানা-সহ তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাস বলেন, ছেলে কলকাতায় কাজ করে। ওখান থেকে টাকা পাঠিয়েছে। তবে তিনি যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতেন, তা স্বীকার করেছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তারা গ্রেপ্তার হবেন। লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার মায়েদের জন্য ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন কোনও ছেলে যদি তাদের নাম এন্ট্রি করে টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে নেয়, তাহলে প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ করবে।