NOTA এমনকি তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আর্জি ‘বিজেপি বাঁচাও’ মঞ্চের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ভোটের মুখে ফের সক্রিয় হয়ে উঠল ‘বিজেপি বাঁচাও’ মঞ্চ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় সভা করে তাঁরা নোটা ও তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাল আদি বিজেপদের সংগঠন বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ। মঞ্চের দাবি, প্রকৃত বিজেপি কর্মীদের প্রার্থী করা হয়নি! নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ‘নোটায়’ ভোট দেওয়ার আবেদন জানাল ‘বিজেপি বাঁচাও’ মঞ্চ। আদি বিজেপি কর্মীদের মতে, একুশের নির্বাচনের মতোই চব্বিশের লোকসভা ভোটেও ভুল প্রার্থীদের মনোনীত করা হয়েছে। বিজেপির আদি নেতা-কর্মীরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন, ইডি, সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? শুভেন্দুকে নেতা হিসেবে মানা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আদি বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক দীপক সরকার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ঘরে চোর পুষে পরের ঘরের চোর তাড়াব, এটা কোন নৈতিকতা? তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, হেমন্ত সোরেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে যেতে হলে, তাঁদের থেকেও বেশি দোষী শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না? নব্য ও তৎকালদের হাতে বিজেপি চলছে বলেও সরব হন মঞ্চের সদস্যরা। বিভিন্ন জেলা থেকে পদ্ম পার্টির বিক্ষুব্ধ, পুরনো নেতা-কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন।
বিজেপি আদি নেতা-কর্মীরা, প্রতিবাদপত্র ছাপিয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদেরও ছেড়ে কথা বলা হয়নি।
প্রতিবাদপত্রে ‘বিজেপি বাঁচাও’ মঞ্চ নিম্নলিখিত প্রশ্ন তুলেছে:
১) দলের সংবিধানকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। দলের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ কেন?
২) সংবিধান অনুযায়ী বিজেপি কর্মীদের দ্বারা দল পরিচালনা হচ্ছে না। তাহলে কি যোগ্য কর্মীর অভাব?
৩) একুশের বিধানসভা ভোটের মতো এবার চব্বিশের লোকসভা ভোটেও ভুল প্রার্থী মনোনীত করা হল কাদের স্বার্থে ও কোন উদ্দেশে?
৪) অযোগ্য, আসামী, আয়ারাম, গয়ারাম প্রভৃতি ব্যক্তিদের লোকসভা ভোটে প্রার্থী করার উদ্দেশ্য কী?
৫) সারদা, নারদা কেসের আসামী ইডি, সিবিআইয়ের চার্জশিট হাই কোর্টে জমা হওয়া সত্ত্বেও কোন মন্ত্রে সব চাপা পড়ে থাকে অন্যের পায়ে ধরা ব্যক্তির? নিজের ঘরে চোর পুষে, পরের ঘরের চোড় তাড়ানো কি শোভা পায়?
বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ ‘বিবেক ভোট’ প্রদান করার ডাক দিয়েছে। সভা থেকে বিজেপির আদর্শ রক্ষার্থে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। প্রয়োজনে তৃণমূলকে জেতানোর আহ্বানও দেওয়া হয় সভা থেকে। আদর্শ বিচ্যুত বিজেপিকে না মানার ডাকও দেওয়া হচ্ছে। সভা থেকে বাঁচাও মঞ্চের সদস্যরা স্পষ্ট করে দেন, দল তাঁরা ছাড়বেন না। বাংলায় বিজেপিকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে নির্দল প্রার্থী দেওয়া হবে।