বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্ম গ্রহণের আগে হিন্দুদের অনুমতি বাধ্যতামূলক! কী ফরমান গুজরাত সরকারের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হিন্দুত্বের পোস্টার বয় খোদ মোদীর রাজ্যের হিন্দু ধর্ম ছাড়ার হিড়িক। ফলে আসরে নেমেছে সরকার। মোদী, শাহের রাজ্যের সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানাচ্ছে, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্ম গ্রহণের আগে হিন্দুদের অনুমতি নিতে হবে। সে’রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মতে, সম্প্রতি হিন্দু থেকে বৌদ্ধে ধর্মান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে গুজরাতের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন মানা হয়নি। জেলাশাসকরা বহু ক্ষেত্রেই নাকি সরকারি নির্দেশিকা মানছেন না, এমনই দাবি।
সোমবার নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ আলাদা ধর্ম। সেই নির্দেশিকায় উপ সচিব (স্বরাষ্ট্র) বিজয় বাধেকারের সই রয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে হিন্দুদের জেলাশাসকের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে।
সম্প্রতি, বিপুল সংখ্যক ধর্মান্তকরণের সাক্ষী থেকেছে গুজরাত। গত অক্টোবরে আমেদাবাদে দশেরার দিন গুজরাত বুদ্ধিষ্ট অ্যাকাডেমি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৪০০ জন হিন্দু বৌদ্ধ ধর্ম (Buddhism) গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের এপ্রিলে আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৫০ হাজার দলিত ও আদিবাসী বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। মনে করা হচ্ছে, ধর্ম পরিবর্তনের গতি রুখতেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন গুজরাত বুদ্ধিষ্ট অ্যাকাডেমির সচিব রমেশ বানকার (Ramesh Bankar)। তিনি বলেন, এই নির্দেশিকা থেকেই প্রমাণিত হয়ে গেল; হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম এক নয়। তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম কখনই হিন্দু ধর্মের (Hindus) অঙ্গ নয়। তাই, বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হল বলেই মত রমেশের।