পোর্টাল ধসে বিপত্তি! GST রিটার্ন নিয়ে ঘুম উড়েছে করদাতাদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবার GST রিটার্ন ফাইল করতে পারলেন না বহু ব্যবসায়ী। জানা যাচ্ছে, ধসে গিয়েছে পোর্টালের পরিকাঠামো। প্রতি মাসের ১১ তারিখ তার আগের মাসের রিটার্ন দাখিল করা হয়। জিএসটি পোর্টালে ক’দিন যাবৎ নানান সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। ১০ এপ্রিল থেকে সমস্যা চরমে ওঠে। কেউ কেউ দু’দিন ধরে রিটার্ন দাখিলের চেষ্টা করেও সফল হননি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দাখিল না করলে; করদাতাদের আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে, তার দায় কে নেবে? উঠতে আরম্ভ করেছে প্রশ্ন।
২০১৭ সালে দেশজুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হয়েছিল। প্রায় সাতবছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই কর ব্যবস্থা। কিন্তু আজও জিএসটি নেটওয়ার্ক পুরোপুরিভাবে সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে পারছে না! সাত বছর কম সময় নয়, কিন্তু মোদী সরকারের ব্যর্থতায় আজও সুষ্ঠু পরিষেবা মিলছে না। বণিকসভা ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরোক্ষ কর সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান সন্দীপ চোরারিয়ার কথায়, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ শেষ হয়েছে। সব বাণিজ্যিক সংস্থাই মার্চে আর্থিক হিসেব শেষ করে। ফলে কাজের চাপ থাকে। নিয়ম মতো চলতি মাসের ১১ তারিখের মধ্যে গত মাসের জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার কথা। যারা অন্য কোনও সংস্থাকে পণ্য বা পরিষেবা দেয়, তাদের এই রিটার্ন দাখিল করতে হয়। মার্চ মাসে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে আর্থিক হিসেবে অনেক বেশি বদল বা পরিমার্জনা করতে হয়, ফলে রিটার্ন দাখিল করতে দেরি হয়ে যায়। কারণে শেষলগ্নে রিটার্ন দাখিল করায় পোর্টালে চাপ পড়ে যাচ্ছে। সে কসরণেই হয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে করদাতারা। তথ্য আপলোড করতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। তথ্য আপলোড করার পরও অনেক সময়তেই পোর্টাল তা নিচ্ছে না।
করদাতারা (Taxpayers) বলছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দাখিল না করলে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পেতে সমস্যা হবে। ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট আটকে যাওয়ার ফলে সংস্থার নগদ টাকার জোগান কমে যাবে। করদাতাদের দাবি, এতে ব্যবসায়িক সমস্যা হবে। কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রক নীরব দর্শকের ভূমিকায়। অবিলম্বে জিএসটি রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি করছেন করদাতারা।