দেশে থাকবে না কোনও আঞ্চলিক দল! ওয়ান নেশন ওয়ান পার্টির পক্ষে হুঙ্কার নাড্ডার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, এই তিনটি শব্দই ভারত গঠনের বুনিয়াদ। কিন্তু ভারতের বর্তমান শাসকদল বিজেপি এককের পথে হাঁটতে চায়। বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর আঘাত আনার অভিযোগ ওঠে। ধীরে ধীরে এককের দিকেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পদ্ম পার্টি?
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mukherjee) নেতৃত্বে জনসঙ্ঘের আন্দোলন তথা কাশ্মীর যাত্রার স্লোগান ছিল ‘এক দেশ এক নিশান’, মোদী গদিতে বসার পর থেকেই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন। ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড। ওয়ান নেশন ওয়ান হেলথ কার্ড, একের পর এক স্লোগান দিয়ে চলেছে বিজেপি সরকার। আদত উদ্দেশ্য বিরুদ্ধ মত মুছে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ঘোষণা করলেন, আঞ্চলিক দলের দিন শেষ। বৃহস্পতিবার সিকিমে দলের ইস্তাহার প্রকাশের সময় তিনি বললেন, আঞ্চলিক দল অনেক হয়েছে। এবার আঞ্চলিক দলকে বিদায় জানিয়ে দিন। দুর্নীতিবাজদের বিদায় জানান। সবাই মূল স্রোতে যোগ দিন। মূল স্রোত হল কেবল ভারতীয় জনতা পার্ট। নাড্ডার কথায়, মূল স্রোতে যোগ দেওয়া একমাত্র সম্ভব নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বে।
প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী-মুক্ত দেশ অর্থাৎ ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পার্টি’ মোদীর টার্গেট? সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, আগামী ভোটের পর নাকি বিরোধীদের দর্শক গ্যালারিতে বসতে হতে পারে! অর্থাৎ বিরোধীশূন্য হাওয়া সম্ভাবনা আছে। কংগ্রেস-মুক্ত ভারত বিজেপি (BJP) নেতাদের স্বপ্ন। একই সুর শোনা যাচ্ছে নাড্ডার গলায়। নাড্ডার দীর্ঘ বক্তব্যের এই অংশটি আলাদাভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করেছে বিজেপি। নাড্ডা (JP Nadda) কি তাহলে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান পার্টি’র পক্ষেই সওয়াল করলেন? এ দেশের সংবিধান এবং সংসদীয় ব্যবস্থা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। আঞ্চলিক দলগুলিকে সুকৌশলে দুর্বল করা চলছে মোদী আমলে। দল ভাঙা, জনপ্রতিনিধিকে ভাঙিয়ে আনা, দলবদল, ঘোড়া কেনবেচায় সরকার ফেলে দেওয়া, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের দুরমুশ করা; এ সবের একটাই ইঙ্গিত বিজেপি চায় গোটা দেশে একটাই শাসক থাকুক এবং তারা-ই থাকুন।