বাঙালির নস্টালজিয়া – পয়লা বৈশাখে বসুশ্রীর আড্ডা-জলসা
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/04/বসুশ্রী-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বসুশ্রীর সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। বসুশ্রী সিনেমা হলে পয়লা বৈশাখে বৈঠকী আড্ডা বসত। অভিনেতা অভিনেত্রী, গায়ক, গায়িকা সকলে একসঙ্গে বসে আড্ডা দিতেন, গান বাজনা হত। উত্তম কুমার নিয়মিত আসতেন, গান গাইতেন। বাংলা সিনেমার হাজারও স্বর্ণযুগের সাক্ষী বসুশ্রী।দেয়ানেয়া, রাজকন্যার মতো ছবির ভাবনা প্রথম শুরু হয়েছিল বসুশ্রী থেকে, সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বসুশ্রীতে বসেই অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির চিত্রনাট্য লিখেছেন। সত্যজিতের পথের পাঁচালির প্রিমিয়ার হয়েছিল বসুশ্রীতেই।
১৯৫৪ সাল (কেউ কেউ বলেন শুরু হয়েছিল ১৯৫০ থেকে) থেকেই বসুশ্রীর বিখ্যাত পয়লা বৈশাখের জলসার পথচলা শুরু হয়েছিল। লতা মঙ্গেশকর কলকাতায় আসছেন। জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, পরেশনাথের মন্দির দেখবেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ভবানীপুরের বাড়িতে উঠবেন। হেমন্তই লতাকে সব ঘুরিয়ে দেখাবেন। হেমন্ত বসুশ্রীর মন্টুবাবুকে বললেন, লতা থাকবেন কলকাতায়। একটা কিছু করা যেতে পারে। তখনই ঠিক হল, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে একটা অনুষ্ঠান হোক। হেমন্ত-লতা-সন্ধ্যা সবাই ছিলেন। তখন থেকেই পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বাৎসরিক উৎসবে পরিণত হল।
নববর্ষের সকালে বাংলা গানের এই জলসাকে ঘিরে আন্দোলিত হত নতুন বছরের আগমনের অনুষ্ঠান। আজও স্মৃতিতে ভেসে ওঠে সেই সব আড্ডা। বেশ কিছু কাল বন্ধের পর ফের বসুশ্রীর আড্ডা ফিরেছিল।
এখনও পয়লা বৈশাখের সকালে বসুশ্রী সিনেমা হলে আড্ডা জমে৷ বাংলা গান-কবিতা-আবৃত্তি-আড্ডা-গল্পে মেতে ওঠার আসর বসে৷