দেশ বিভাগে ফিরে যান

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কীভাবে পালিত হয় নববর্ষ?

April 14, 2024 | 2 min read

দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নববর্ষ পালন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। কবির এই কথাটি ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে একদম প্রযোজ্য। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই আমাদের মূল আদর্শ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, অরুণাচল থেকে গুজরাট – আমাদের ভাষা, খানপান, পরিধান আলাদা হলেও, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ। 

উৎসব, পার্বণে অবশ্য আমরা সকলেই সার্বজনীন। পুজো হোক বা নতুন বছর – সব ভেদাভেদ ভুলে একত্রে পালন করি, একসাথে। এই ভারতে একেক প্রান্তে একেক সময় পালিত হয় নববর্ষ। ধর্মীয় উত্সবের পরেই নববর্ষ উত্সবটি অত্যন্ত জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয় প্রায় সর্বত্রই। বৈদিক গ্রন্থগুলিতেও এই নববর্ষ উৎসব পালনের খবর পাওয়া যায়। নববর্ষের আগমনে অগ্নিপিতা ও পৃথিবীমাতাকে অর্ঘ্য দিয়ে শুরু হত নববর্ষের উৎসব।

তামিলনাডুতে নববর্ষ পালন করা হয় পয়লা এপ্রিল। চৈত্রপূর্নিমায় নববর্ষ পালন হয় অন্ধ্রপ্রদেশে, কেরলে ভিশু নামে নববর্ষ পালন হয় ১৪ই এপ্রিল। কেরলের দক্ষিণ অংশে আরও একটা নববর্ষ পালন হয় ওনম নামে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হয় এই ওনম।

কর্নাটকের নববর্ষ যুগাদি পালিত হয় ১লা চৈত্র, চাঁদ দেখে শুরু হয় যুগাদি। অসমে ১লা বৈশাখ পালিত হয় ‘বিহু’ নামে নববর্ষ। এটি অবশ্য পালিত হয় বছরে তিন বার। নতুন বছরে প্রথম দিনটিতে হয় বাংগালি বিহু, কার্তিক মাসে হয় কাঙালি বিহু, আর মাঘে হয় ভোগালি বিহু।

মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যাণ্ডের বেশীরভাগ মানুষই খ্রিষ্টান। তাই নববর্ষ পালিত হয় এই তিন রাজ্যে ১লা জানুয়ারি। মণিপুরে ১লা বৈশাখই হয় নববর্ষ। পূর্বাঞ্চলে আর একটি পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরা। এখানে বাইরের মানুষ যেমন আছেন, তেমনি উপজাতির সংখ্যাও কম নয়। বাঙালিদের ১লা বৈশাখের পাশাপাশি ওখানকার ‘লুসি’ ও টুকাই উপজাতি খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী হওয়ায় ১লা জানুয়ারি নববর্ষ পালন করেন। 

পাঞ্জাবীরা ১লা বৈশাখের আগের দিন নববর্ষ শুরু করেন, আসল উৎসব অবশ্য পরের দিন, ওঁরা একে বলেন বৈশাখী। রাজস্থানে নববর্ষ পালিত হয় রাম নবমীর দিন। গুজরাতে নববর্ষ হয় অঘ্রাণ মাসের প্রথম দিন।

পশ্চিমবঙ্গে ১লা বৈশাখ পালিত হয় নববর্ষের অন্যতম অনুষ্ঠান হালখাতা, দেব দেবীর মন্দির দর্শন ইত্যাদি দিয়ে। বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পশ্চিম দিনাজপুরের আদিবাসীরা নববর্ষ পালন করে ১লা মাঘ। অনুষ্ঠানের নাম ‘মাগসিম’।

তাই তো, এই যে সংস্কৃতির সূত্র আমাদের বেঁধে রেখেছে, সেটিকে আমাদের রাখতে হবে অক্ষুন্ন। আসুন সকলে মিলে সম্প্রীতির জয়গান গাই। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#poila baisakh, #শুভনববর্ষ

আরো দেখুন