পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

মা সারদার স্মৃতিবিজড়িত বাগবাজারে দত্ত বাড়িতে চলছে দেবী অন্নপূর্ণার আরাধনা

April 16, 2024 | 2 min read

ছবি: প্রতীকী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ অন্নপূর্ণা পুজো, দিকে দিকে শুরু হয়েছে মাতৃশক্তির আরাধনা। ১৩৪ বছরে পড়ল বাগবাজারের দত্ত বাড়ির অন্নপূর্ণা আরাধনা। হাওড়ার ব্যঁটরার দত্ত বাড়ির ছেলে লক্ষ্মীনারায়ণ দত্ত বাগবাজারে একটি বাড়ি কিনে থাকতে শুরু করেন। ১৮৯০ সালে নিজের বাগবাজারের বাড়িতে অন্নপূর্ণা পুজো শুরু করেন লক্ষ্মীনারায়ণ। সারদাদেবী তিন বার এই বাড়িতে এসেছিলেন।

১৯০৪ সালে প্রথমবার যতীন মিত্রের কীর্তন শুনতে দত্তবাড়িতে আসেন তিনি, কীর্তন শুনে ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়েন। পাঁচ বছর পর, ১৯০৯ সালে দ্বিতীয়বার আন্দুল কালীকীর্তন সমিতির কীর্তন শুনতে দত্তবাড়িতে আসেন মা সারদা। লক্ষ্মীনারায়ণের পুত্র কিরণচন্দ্র দত্তের আমন্ত্রণে অন্নপূর্ণা পুজো উপলক্ষে তৃতীয়বার দত্ত বাড়িতে শ্রীমায়ের পা পড়ে। অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করেন। সারদাদেবী শ্রীরামকৃষ্ণকে নিবেদন করা অন্নই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতেন। রামকৃষ্ণের পট দত্ত পরিবারের ঠাকুরঘরে ঘরে স্থাপন করেন শ্রীমা। তাঁর নির্দেশে অন্ন-ব্যঞ্জনাদির ব্যবস্থা করা হয়। স্বামী ধীরানন্দ পুজোর সব আয়োজন করেন। তারপর ঠাকুরের পুজো ও ভোগ নিবেদন করেন সারদাদেবী। পুজো শেষে মা বলেন, ‘আমি দেখলাম শ্রীঠাকুর অন্নভোগ গ্রহণ করছেন।’ বিকেলে পুজো শেষে বলরাম বসুর বাড়িতে ফেরার দত্ত পরিবারের সদস্যদের বলেন তিনি নির্দেশ দেন, তাঁরা যেন দেবী অন্নপূর্ণার সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের পুজো
চালিয়ে যায়।

এক নম্বর লক্ষ্মী দত্ত লেনে, লক্ষ্মীনারায়ণ দত্তের বাড়ির অন্নপূর্ণা পুজোয় শ্রীমার কথামতো আজও শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পুজো হয়। অন্নপূর্ণা পুজোর সঙ্গে সঙ্গে শ্রীমায়ের স্থাপন করা শ্রীরামকৃষ্ণের পটে পুজো করা হয়। নতুন ধুতি-চাদরে সাজিয়ে তোলা হয় ঠাকুরঘর। শ্রীরামকৃষ্ণের পাশাপাশি সারদাদেবীকেও নতুন বস্ত্রে সাজিয়ে পুজো করা হয়। সারদাদেবীর নির্দেশ মেনে নিবেদন করা হয় অন্নভোগ। ভাত, পাঁচরকম ভাজা, শুক্তো, ডাল ও তিন ধরনের তরকারি থাকে। সঙ্গে থাকে পোলাও, পনির, ধোকার ডালনা, আমের চাটনি। মিষ্টির মধ্যে থাকে পায়েস, রাবড়ি, রসগোল্লা ও সন্দেশ। ডাবের জল ও মিছরির শরবতের সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয় মিষ্টি পান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Bengal, #Festival, #annapurna pujo

আরো দেখুন