নগদ টাকা, মাদক, মদ উদ্ধারে রেকর্ড কমিশনের! শীর্ষে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৯ এপ্রিল দেশজুড়ে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ, লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার তিনদিন বাকি থাকতে নগদ, মাদক, মদ ও উপহারসামগ্রী উদ্ধারে রেকর্ড গড়ল নির্বাচন কমিশন। সোমবার কমিশন জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকার নগদ এবং বিভিন্ন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি কালো টাকা-মাদক উদ্ধার হয়েছে। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাঁদের কটাক্ষ, মোদী এবং বিজেপির নেতারা ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে উন্নয়নের ঢাক পেটান। তাহলে কি তা যথেষ্ট নয়? ভোট পেতে ভরসা করতে হচ্ছে নগদ অর্থ ও উপহারের উপর?
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, অর্থ ও সামগ্রী উদ্ধারে শীর্ষে ডাবল ইঞ্জিন রাজস্থান। মরুরাজ্য থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭৭৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি কালো টাকা ও মাদক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোদীর রাজ্য গুজরাত। ৬০৫ কোটি টাকার বেশি নগদ ও সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তৃতীয়তে বিজেপি-শিবসেনা শাসিত মহারাষ্ট্র, এই রাজ্য থেকে ৪৩১ কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার হয়েছে। তালিকায় একেবারে শেষে রয়েছে বাংলা। উদ্ধার হয়েছে নগদ ১৩ কোটি টাকা।
কমিশন জানিয়েছে, নগদ ও পণ্য বাজেয়াপ্ত করার নিরিখে এবার রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। এত অর্থ ভোটের আগে কখনও উদ্ধার হয়নি। নির্বাচন শুরুর আগে ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকার অর্থ ও সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলে জানাচ্ছে কমিশন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের গোটা নির্বাচন পর্বে ৩,৪৭৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এবার ভোট শুরুর আগে তা ছাপিয়ে গিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মাদক। মোট ২ হাজার ৬৮ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে এখনও অবধি। উনিশে গোটা নির্বাচন পর্বে ১ হাজার ২৭৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছিল। ১ হাজার ১৪২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার উপহার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে এবার।৫৬২ কোটি টাকার অলঙ্কার, ৪৮৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার মদ উদ্ধার হয়েছে। নগদের পরিমাণ ৩৯৫ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।