গত লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা বিজেপি’র ভোট পরিচালনা করেছিলেন, তাঁরা এখন তৃণমূলে! চিন্তায় গেরুয়া শিবির
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন কামাখ্যাগুড়ির বাসিন্দা তরুণ নেতা বিপ্লব সরকার (Biplab Sarkar)। গত লোকসভায় বিজেপির পক্ষ থেকে তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র দেখার জন্য বিপ্লবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিপ্লববাবু সহ জেলাস্তরের আরও কয়েকজন বিজেপি (BJP) নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তৃণমূলের নমঃশূদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি তিনি। এবারের ভোটে তাঁকে তুফানগঞ্জ বিধানসভা দেখার জন্য তৃণমূলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এককথায় কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কাজ করছে রাজ্যের শাসকদল।
দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তুফানগঞ্জ (Tufanganj) বিধানসভা এলাকাতেই ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারের কাজে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছেন। জোরপ্রচার শুরু করেছেন তিনি। বিপ্লববাবু বলেন, দলের পক্ষ থেকে আমাকে তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রামে গ্রামে প্রচারে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ তুলে ধরছি। তুফানগঞ্জ বিধানসভার মানুষ বলছেন, তাঁরা বিদায়ী সাংসদ জন বারলাকে (John Barla) চেনেনই না। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করেননি।
এদিকে, কুমারগ্রাম চা বাগানের বাসিন্দা তরুণ নেতা বিনোদ মিনজ (Vinod minz) ২০২১ সালে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তিনি বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক পদে ছিলেন। তৃণমূল তাঁকে আইএনটিটিইউসি’র (INTTUC) জেলা সভাপতি পদের দায়িত্ব দেয়। এবার চা বলয়ে জোরদার প্রচার শুরু করেছেন বিনোদ। তিনি বলেন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে রয়েছেন। ভোটের ফলাফলে তা প্রমাণিত হবে। ফলে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপির ভোট কুশলীদের মধ্যে অন্যতম ছিলে যারা, তাঁরা এখন তৃণমূলে (TMC)। স্বাভাবিকভাবেই তা কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিজেপি’র।