জনপ্রিয়তা আর সংগঠন, দুই দিদির দুই USP-তে হুগলি বিজয়ের স্বপ্ন তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘হুগলি বিজয়’-এ ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। ভরসা বলতে দুই দিদি। গত লোকসভা নির্বাচনেও ধনেখালি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল বিজেপিকে। তৃণমূলের মজবুত সংগঠনের কৃতিত্ব ‘ধনেখালির দিদি’ তথা বিধায়ক অসীমা পাত্রের (Ashima Patra)। ইতিমধ্যেই ধনেখালির দিদি হুগলির নতুন দিদি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachna Banerjee) প্রচারে নেমেছেন। নতুন দিদির জনপ্রিয়তা আর পুরনো দিদির সংগঠন, এই দুইয়ে ভর করে তৃণমূল কংগ্রেসের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।
ধনেখালি দখলে বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করার টার্গেট নিয়েছে বিজেপি (BJP)। বামেদের জন্যে ধনেখালিতে বিজেপির কিছুটা জমি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার সিপিএমের প্রস্তুতিতে জোয়ার দেখা যাচ্ছে, বামেরা নিজেদের তথাকথিত ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারলেই ধনেখালিতে জোর টক্কর দেখা যাবে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-শের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) ধনেখালি বিধানসভায় ১,০৯,৮৪২ ভোট পেয়েছিল। হুগলি আসনে জিতে গেলেও ধনেখালিতে বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারেনি। ১০ হাজার ভোটের সীমারেখাও টপকাতে পারেনি বামেরা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী প্রায় ৬৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। তিন বছরের মধ্যে কার্যত বামেদের ভোট শূন্য হয়ে যায়।
২০১৯ সালের লোকসভায় পাওয়া ভোট ২০২১ সালের বিধানসভায় ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল ১,২৭,৭৭৬ ভোট পেয়েছিল। লোকসভার নিরিখে প্রায় ১৭ হাজার বেশি। ২০২১ সালে জোট প্রার্থী ১০ হাজারের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ২০১১-র পর থেকে লোকসভা বা বিধানসভায়, ধনেখালিতে তৃণমূলের ভোট কখনও ৫০ শতাংশের নীচে নামেনি। এসব পরিসংখ্যানেই বিজেপির চিন্তা বাড়ছে।