বঙ্গের এক-তৃতীয়াংশ আসনে নির্ণায়ক ফ্যাক্টর মহিলারা!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে মহিলা ভোটাররাই ‘নির্ণায়ক ফ্যাক্টর’ হতে চলেছেন। ভোটার তালিকায় সাফ দেখা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে বাংলায় পুরুষ ভোটারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহিলা ভোটারের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রাজ্যের তিন আসনে পুরুষ ভোটারদের ছাপিয়ে গিয়েছেন মহিলারা। ২০১৯ সালে বাংলায় ভোটার অনুপাত ছিল ৯৪৯। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৯৬৮। সম্ভবত গোটা দেশে বাংলার বৃদ্ধিই সর্বাধিক।
উনিশে বাংলার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১ হাজার ২৮৪। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৭১ জন। বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশ। বাংলায় পুরুষদের পিছনে ফেলে ৯.৬ শতাংশ হারে মহিলা ভোটার (women voters) বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষ ভোটারের বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ। ২০১৯ সালে মাত্র একটি কেন্দ্র, দমদমে পুরুষ ভোটারের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। এবার দু’টি কেন্দ্র—যাদবপুর এবং হুগলিতে মহিলা ভোটার সংখ্যা পুরুষ ভোটারদের চেয়ে বেশি।
অন্তত দশ কেন্দ্রে মহিলা এবং পুরুষ ভোটারের পার্থক্য কমবেশি ১ শতাংশেরও কম। ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে মহিলাদের চেয়ে ৩৯১ জন বেশি পুরুষ ভোটার রয়েছেন। শতাংশের বিচারে ০.০২%। ২০১৯ সালে ওই কেন্দ্রে ১৭ হাজার ২৪৭ জন বেশি পুরুষ ভোটার ছিলেন। দার্জিলিংয়ে এবার মহিলা-পুরুষ ভোটারের পার্থক্য মাত্র ২ হাজার ২৮৯। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটারের পার্থক্য ৪ হাজার ৮৪৮।
মালদহ দক্ষিণ, বারাসত, শ্রীরামপুর, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বীরভূম ছাড়াও বাংলার একাধিক কেন্দ্রে মহিলা ও পুরুষ ভোটারের পার্থক্য ২০ হাজার বা তার নীচে। অনেকেই বলছেন, কন্যাশ্রী ও লক্ষীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের কারণে মহিলাদের ভোট আগ্রহ বেড়েছে।