ভারতের বিপুল মানব সম্পদ কাজে লাগাচ্ছে না মোদী সরকার? আক্ষেপ RBI-র প্রাক্তন গভর্নরের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতের বিপুল জনসংখ্যা আদপে ভারতের শক্তি। কিন্তু জনসংখ্যার সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না ভারত, এমনই আক্ষেপ সুর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের গলায়। আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ‘মেকিং ইন্ডিয়া অ্যান অ্যাডভান্সড ইকনমি বাই ২০৪৭: হোয়াট উইল ইট টেক’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাজন। মোদী সরকারের দাবি, ২০৪৭ সালে ভারত উন্নত অর্থনীতির দেশ হবে। রাজন বলছেন, দাবি পূরণের লক্ষ্যে কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাঁর মতে, ভারতের এখন সোনালি সময় চলছে। অথচ দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের আশেপাশে। এটা উদ্বেগের। কারণ, চীন বা কোরিয়ার যখন সোনালি সময় চলছিল, তখন সেই দেশগুলির জিডিপি যা হার ছিল, ভারতের বর্তমান হার তার থেকে অনেক কম।
প্রচারের ঢক্কানিনাদ বাজিয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। দেশকে উৎপাদন শিল্পে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে স্টার্ট আপ-সহ সব সংস্থাকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু রাজনের মতে, সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। সুযোগের অভাবে তরুণ উদ্যোগপতিরা দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর বা সিলিকন ভ্যালিতে চলে যাচ্ছেন। কেন সুফল ভারতীয় অর্থনীতি পাচ্ছে তো? আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদ রাজন।
তিনি আরও বলেন, ৬ শতাংশ হারের পক্ষে কথা বলে বিষয়টিকে জটিল করে ফেলা হচ্ছে। ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা কাজের অভাব। তার থেকেও বড় সমস্যা কর্মসংস্থান নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি। তাঁর মতে, এমন বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা কর্মসংস্থান তৈরির উপযোগী নয়। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, চিপ উৎপাদনে উৎসাহ দিতে কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিপুল কাজের সম্ভাবনা থাকার পরেও চর্ম শিল্পের প্রতি অবহেলা করা হচ্ছে।