দাবদাহে কাহিল জীবজন্তুও, ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে কী ব্যবস্থা সোহম, সোহিনী এবং সুন্দরের জন্য?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মানুষের মতোই জীবজন্তুরাও কাহিল দাবদাহের জেরে, তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে খাঁচায় থাকে তিনটি বাঘ সোহম, সোহিনী এবং সুন্দর। এই গরমে তাদের অতিরিক্ত যত্ন করা হচ্ছে। বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্লান্তি ও শারীরিক ধকল কাটাতে ভিটামিন ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখতে দিনে দু’বেলা স্নান করানো হচ্ছে। পাইপ দিয়ে জল দেওয়ার সময় চুপটি তার বসে থাকছে বাঘগুলো। সামান্য ছায়া পেলেই বসে বিশ্রাম নিতে শুরু করে দিচ্ছে তারা।
ঠান্ডা জলে স্নান বেশ উপভোগ করছে সুন্দরবনের রাজারা। বিরক্তি নয়, গর্জনও করে না। যতক্ষণ স্নান করানো হয়, ততক্ষণ যেন বাধ্য ছাত্র। চিকিৎসক ও ঝড়খালির কর্মীরা বিশেষ নজর দিচ্ছেন। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে এখনও কোনও অনীহা দেখা যাচ্ছে না। অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। খাবারের পরিমাণও ঠিকঠাক রয়েছে। পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রচুর জল খেতে হয়। পশুদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। তাই ওদের ঘরে জলের সঙ্গে ওআরএস মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনটি বাঘকেই ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ দেওয়া হচ্ছে। ওষুধগুলি মূলত বাঘেদের স্ট্রেস ফ্রি রাখতে সাহায্য করবে। অন্যান্য সময় সোহম, সোহিনীদের খাবার দেওয়া হত বিকেল বেলায়। কিন্তু এখন সময় বদলানো হয়েছে। বিকেলে ঘোরাফেরা করে ঘরে ঢোকার পর সন্ধ্যার দিকে মাংস দেওয়া হয়। বাঘেদের খাঁচা থেকে গরম হাওয়া বের করার জন্য এগজস্ট ফ্যান লাগানো রয়েছে। দিনের বেলা তিনটি বাঘই সুযোগ পেলে বাথটাবে ডুবে থাকে দীর্ঘক্ষণ। পর্যাপ্ত জল পানও করছে।