লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সাহায্য বৃদ্ধির খুশিতে ধনদেবীর আরাধনায় পূর্বস্থলীর মহিলারা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৫০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ। বাংলার মেয়েরা তাতে অন্যন্ত খুশি। যার জেরে গ্রামের মহিলাদের আর্থিক স্বাচ্ছল্য এসেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমিয়ে বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজোয় মাতলেন পূর্বস্থলীর (Purbasthali) আস্তেকুড়ি গ্রামের মহিলারা। গোটা দিন উপোস করে ঘটা করে লক্ষ্মী পুজো করলেন গ্রামের মহিলারা। পুজোর পর প্রসাদ বিতরণ করা হয়। লক্ষ্মী পুজো ঘিরে উৎসবের চেহারা নেয় আস্তেকুড়ি গ্রাম।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের মুকশিম পাড়া অঞ্চলের আস্তেকুড়ি গ্রামের বহু মহিলা এদিন পুজোয় যোগ দেন।
মহিলাদের কারও স্বামী চাষাবাদ করেন, কারও স্বামী দিনমজুর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রাপ্য ভাতা থেকে চাঁদা দিয়ে পুজোর সমস্ত খরচ করলেন মহিলারা। রীতিমতো প্যান্ডেল করে লক্ষ্মী প্রতিমা এনে পুজো হয়। পঞ্চায়েতের প্রধানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। আস্তেকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সোমা মজুমদার, সুমিত্রা মাঝি, ঝর্না মাঝি বলছেন, তাঁরা ১ হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (lakshmir bhandar) পাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর্থিক উন্নতি ঘটায় তাঁরা নিজেরাই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছেন। সমস্ত আচার মেনে পুজো হয়েছে।
মুকশিমপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান সঙ্গীতা মাঝি বলছেন, গ্রামের মহিলারা সাবলম্বী হচ্ছেন দেখে তাঁর খুব ভাল লাগছে। আরও বলেন, তাঁরা নিজেরাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা জমিয়ে লক্ষ্মী পুজো করছেন এটা দেখে আরও ভাল লাগল। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বর বক্তব্য, মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ততাই বলে দিচ্ছে তাঁরা কতটা খুশি হয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে তাঁদের কতটা উপকার হচ্ছে। বাংলার দিদি সবার জন্য চিন্তা করেন। এ জন্যই তিনি সবার দিদি।