CAA কি BJP-র খুড়োর কল? শান্তনু ঠাকুরের প্রচারপত্রে দেখা নেই নাগরিকত্ব ইস্যুর!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সিএএ ক্রমেই বুমেরাং হয়ে দেখা দিচ্ছে বিজেপির জন্য? বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের দাবি ছিল, নাগরিকত্বের জন্য তাঁর দেওয়া কার্ড বিশেষ সুবিধা দেবে! অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শান্তনুর সই করা সেই কার্ড সংগ্রহের প্রবণতা বেড়েছিল। কিন্তু সিএএ’র আওতায় নাগরিকত্বের আবেদন করা নিয়ে মতুয়ারা আজও ধন্দে। বিজেপির ইস্তাহারেও নাগরিকত্ব নিয়ে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। স্থানীয় স্তরে বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের প্রচারপত্রেও নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ একটি শব্দও ব্যয় করা হয়নি। সিএএ যে বিজেপির নির্বাচনী জুমলা, তা বিশ্বাস করছেন মতুয়াদের একাংশ।
বনগাঁ লোকসভার ক্ষেত্রে ভোটারের প্রায় ৬৪ শতাংশ মতুয়া, নমঃশূদ্র ও অন্যান্য তফসিলি জাতিভুক্ত। প্রায় সকলেই উদ্বাস্তু। দোরগোড়ায় ভোট থাকলেই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার টোপ দেয় বিজেপি। ২০১৪ ও ১৯শের লোকসভা, ২১-র বিধানসভার মতো এবারও ঝুলি থেকে বিড়াল বের করেছে মোদী সরকার। সিএএ (CAA) কার্যকর করার ঘোষণা করেছে বিজেপি সরকার। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত একজনও আবেদন করেনি সিএএ-তে। বিড়ম্বনায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। কারণ মতুয়ারা শর্ত সাপেক্ষ নাগরিকত্ব চান না।
মতুয়া (Matua) মহাসঙ্ঘের নতুন সদস্য কার্ডের জন্য ৮৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কার্ড নবীকরণের জন্য এক বছরে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। কার্ড থাকলেই নাকি নাগরিকত্বের দাবিদার হওয়া যাবে, এমন প্রচার চালাচ্ছিল বিজেপি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) প্রতিশ্রুতি ছিল, ভোটের আগেই নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। তা তো হয়নি। তাই নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন।
শনিবার সকালে সমাজমাধ্যমে সাংসদ হিসেবে, নিজের কাজের খতিয়ার তুলে ধরেন শান্তনু। সেই তালিকায় নেই নাগরিকত্বের গ্যারান্টি। একজোড়া বন্দে ভারত ট্রেনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি, একটি বনগাঁ থেকে দীঘা হয়ে পুরী যাবে। অপরটি বনগাঁ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি। মেট্রোর মাধ্যমে তিনি বনগাঁর সঙ্গে দমদম ও কল্যাণীকে তিনি জুড়তে চেয়েছেন। তাঁর দাবি, বিমানবন্দর হবে কল্যাণীতে। বনগাঁর সাধারণ মানুষ বলছেন, বিজেপি প্রার্থীর এসব প্রতিশ্রুতি আদপে নির্বাচনী গিমিক। ইচ্ছা থাকলে মন্ত্রী থাকাকালীন এলাকার জন্য অনেক কিছু করতে পারতেন তিনি। বাংলার মানুষের পাওনা বকেয়া নিয়ে কেন সরব হননি শান্তনু ঠাকুর, সে প্রশ্নও উঠছে।