শুভেন্দুর ‘বোমা ফাটতে চলছে’ মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ বিজেপি’র অন্দরে
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চ কলমের এক খোঁচায় বাংলার প্রায় ২৬ হাজার মানুষের চাকরি কেড়ে নিয়েছে। সেই ঘটনার দু’দিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি মন্তব্য করেছিলেন, সপ্তাহের শুরুতেই বোমা ফাটতে চলেছে। গতকালের রায়ের পরে তিনি জানিয়েছেন, এই রায় সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চাননি।
কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, হাজার হাজার মানুষের চাকরির সঙ্গে জড়িত মামলার রায় আদালত কী দিতে চলেছে, সেটা কী আগাম ইঙ্গিত দিয়ে বলা উচিত? এই বিষয়টি নিয়ে খোদ বঙ্গ বিজেপি’র অন্দরে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিজেপি নেতারা এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও একান্তে তাঁরা মানছেন যে, শুভেন্দু এই ইস্যুতে আগাম মুখ খুলে কিছু না বললেই পারতেন। কারণ, বাংলার প্রায় সবাই মনে করছেন, এই রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের এই রায় আমজনতাকে বাধ্য করবে তৃণমূলের বিকল্প বেছে নিতে।
কিন্তু সত্যিই কী তাই? জনসমক্ষে তারা যাই বলুক না কেন, চার দেওয়ালের অন্দরে বাং থেকে কংগ্রেস মায় বিজেপি’র নেতারাও স্বীকার করছেন, এই রায় ভালোর চেয়ে মন্দ বেশি করেছে। একই সঙ্গে শুভেন্দুর মন্তব্য গোটা বিষয়টিকে স্পর্শকাতর পর্যায়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। কেননা এটা পরিষ্কার ২৬ হাজার মানুষের সবাই দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পাননি। প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চাকরি হয়েছিল ৪টি প্যানেলের মাধ্যমে তাঁদের যোগ্যতার ভিত্তিতে। বাকি ১০ হাজার জন দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু কে দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে আর কে পায়নি সেটা খুঁজে দেখা সম্ভব নয় বলে সবার চাকরি কেড়ে নেওয়া কখনই সুবিচার হতে পারে না।