চাকরি হারানো কেউ যদি আত্মহত্যা করেন, তার দায়িত্ব কি বিচারপতিরা নেবেন? প্রশ্ন মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা ভোটের প্রচারে জেলায় জেলায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বীরভূমের হাসনে ও বর্ধমানের ভাতারে সভা ছিল তাঁর। এদিন বীরভূমে তৃণমূলের প্রাক্তন জেল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারি নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। পাশাপাশি দাবি করলেন, ভোট মিটলেই নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে বীরভূমের এই দাপুটে নেতা ও তাঁর মেয়েকে। মমতা বললেন, “কেষ্ট আজ এলাকায় নেই। ওকে আর ওর মেয়েকে পরিকল্পনা করে বন্দি করা হয়েছে।”
নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে বীরভূমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির একটা কথায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি গেছে। তাদের বলছে কিনা ৮ বছরের মাইনে সুদ সহ ফেরত দাও।’’ মমতার কথায়, “ভোট চলাকালীন বিজেপির এক গদ্দার বলল বোমা পাঠাব, “আরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এত রাগ তো বোমা ফাটিয়ে মেরে দে, অভিষেককেও তো খুন করতে গেছিলি, ধরে ফেলেছিলাম আমরা”। এখানেই না থেমে মমতা বলেন, “তার বাড়ি পর্যন্ত রেকি করেছে, ফেসটাইমে ফোন করেছিল, আপকা সাথ বাত করনা চাতি হু। দেখা করলেই গুলি করে দিত”।
ভাতারের জনসভা থেকে বিচারপতিদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি টাকায় চলবে, সরকারি টাকায় খাবে, সরকারি টাকায় সিকিউরিটি নেবে, সরকারি টাকায় সবটাই হজম করবে, আর কী বলবে, এই এক কলমের খোঁচায় বলব যে যাও সকলের চাকরি চলে গেল।’ সেইসঙ্গে মমতা দাবি করেন, যাঁদের চাকরি চলে গেল, তাঁরা যদি আত্মহত্যা করেন, সেটার দায়িত্ব কি বিচারপতিরা নেবেন? যদিও ভাতারের জনসভা থেকে সরাসরি এসএসসি মামলার বিচারপতিদের নাম করেননি।
সেইসঙ্গে চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘চিন্তা করবেন না। আমরা সাধ্যমতো কেসটা লড়ব। আমরা মানুষের পাশে আছি।