বিজেপি বলে দিচ্ছে আগে, তারপর কোর্টে চাকরি যাচ্ছে! অভিযোগ তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আদালতের রায়ে চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। নিয়োগ মামলায় জড়িত বাকিদের খোঁজে সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বলেছে আদালত। আদালতের ওই রায় সামনে আসার পরই সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, “চোরদের নিয়োগ করার জন্য বাড়তি পোস্ট তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দুর ওই অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ব্রাত্য বলেন, “সুপার নিউমেরিক পোস্ট থেকে সরকার কাউকে চাকরি দেয়নি। যে একজনকে দেওয়া হয়েছিল সেটা তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে বিজেপির তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থীর নির্দেশে।
বিজেপির (BJP) তরফে ইতিমধ্যে দাবি করা হচ্ছে, অযোগ্যদের সুযোগ করে দিতেই রাজ্য ইচ্ছে করে যোগ্যদের লিস্ট হাইকোর্টে জমা দেয়নি। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন দু’বার এফিডেভিট দিয়ে জানিয়েছিল কারা অযোগ্য। সেই সংখ্যাটা ৮ শতাংশ। সবটাই আদালতকে জানানো হয়েছিল।”
ব্রাত্যর পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি সাফ বলেন, যে বিজেপি নেতারা চাকরি যাওয়ার কথা বলছেন আর যে বিচারকদের হাত দিয়ে রায় বেরোচ্ছে তাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।
কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আরও বলেন, বিজেপি বলে দিচ্ছে আগে, তার পর কোর্টে চাকরি যাচ্ছে। বিজেপি’র অফিস থেকে টাইপ করে কি আদালতে অর্ডার যাচ্ছে? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আমরা দেখেছি বিচারপতি থাকাকালীন বিজেপির সঙ্গে আলোচনার দরজা খুলে রেখে তিনি বিজেপি প্রার্থী হতে গিয়েছেন। আসলে চাকরি যাওয়ার একটা পৈশাচিক উল্লাস বিজেপি নেতাদের মধ্যে। নরেন্দ্র মোদী সরকার চাকরি দেয়নি কিন্তু চাকরি নেওয়ার খেলায় মেতেছে। এখানকার বিজেপি নেতারা আগাম বলে দিচ্ছেন চাকরি যাওয়ার কথা, আর তাদের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন সিপিএম কংগ্রেস।