মোদীর মুসলমান বিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদের জের, বহিষ্কার BJP-র সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিকাশ আর চারশো পারের বন্দনা ছেড়ে বিদ্বেষ আর ধর্মীয় মেরুকরণের পুরনো অস্ত্রে শান দিচ্ছেন মোদী। রবিবার বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর কষ্টার্জিত সম্পদ কংগ্রেস, মুসলমান ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মঙ্গলবার মোদীর এহেন মন্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত’ বলেছিলেন রাজস্থানে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার (Muslim Minority Morcha) নেতা উসমান গণি । বুধবার তাঁকে ছ’বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি (BJP)।
বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় মোদী দাবি করেন, অতীতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নাকি বলেছিলেন, দেশের সম্পদে মুসলমানদের অধিকার সবার আগে। কংগ্রেসের উদ্দেশ্য হল দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলমান ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া। মোদীর এহেন বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরোধিতা করে এক টিভি চ্যানেলে উসমান গণি বলেন, মুসলমান সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়। এনডিএ জোট রাজস্থানে ২০১৯ সালের মতো ২৫টি আসন পাবে না বলেও মন্তব্য করেন গণি।
এরপরই পদ্ম পার্টির সংখ্যালঘু শাখার নেতার উপরে নেমে আসে শাস্তি। ছ’বছরের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। রাজস্থান (Rajasthan) বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ওঙ্কার সিং লাখাওয়াত বুধবার বলেন, সংবাদমাধ্যমে বিজেপির ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিলেন উসমান গণি (Usman Ghani)। অন্যদিকে, মোদী মেরুকরণের রাজনীতিতে অনড়। নির্বাচন কমিশন কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অভিযোগ সত্ত্বেও মোদীর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাদের কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে না।