অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে মমতা বললেন- ‘আপনি বিচারালয়ের কলঙ্ক’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা ভোটের মুখেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের মহিলা ভোটারদের ব্যাপক প্রভাবিত করবে। লোকসভা ভোটেও তৃণমূল এর লাভ পাবে। এরই মধ্যে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি (BJP) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) বন্ধ করতে চাইছে। তাঁরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলেই এই প্রকল্পসহ একাধিক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। সেই নিয়েই মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মেদিনীপুরের দাঁতনের সভা থেকে তাঁর বক্তব্য, ”বিজেপির নেতারা বলেছে তিন মাস বাদে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব। আমি ওদের বলি, তোদের আগে বন্ধ করব, তারপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা চিন্তা করিস। এটা রাজ্যবাসীর টাকা, ওদের (বিজেপি) টাকা নয়।” মমতা সভায় যারা এসেছেন তাঁদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ”আপনারা চান লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলুক? তাহলে বিজেপি ভাণ্ডারটাকে উপড়ে দিন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলছে, চলবে।”
এদিনই তমলুকের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Debangshu Bhattacharya) হয়ে জনসভা করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে যখন গুলি চলেছিল, সিপিএমের গুণ্ডারা মদ খেয়ে কোলাঘাটে আটকে দিয়েছিল। আমার গাড়িতে পেট্রোল বোমা মারার চক্রান্ত হয়েছিল। আনিসুরকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। আনিসুর পাঁশকুড়ার ছেলে। যে এখন জেলে আছে এখানকার গদ্দারটার জন্য। সেদিন যখন কেউ ছিল না, আনিসুরকে বলেছিলাম, আমাকে পৌঁছতে দেবে না, কী করে পৌঁছই বলতো! সেদিন আনিসুরের বাইকে তমলুক পর্যন্ত এসেছিলাম।’’
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘এখানে যিনি বিজেপি প্রার্থী তিনিই প্রথম সই করেছিলেন চাকরি যাওয়ার কাগজে। উনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নিজেই বলেছিলেন যোগাযোগ রাখতেন। তো এঁকে আমি কী বলব, যিনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপি করতেন! তাকে বিতাড়িত করে দিন। আর তার নামটাও ঠিক করে দিন।’’ প্রাক্তন বিচারপতিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, আমাকে পদত্যাগ করতে বলার আগে নিজে দেহত্যাগ করুন! আগে নিজের লজ্জা ঢাকুন আপনি বিচারালয়ের কলঙ্ক।