হাঁসফাঁস গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি? জল ও নুনের ঘাটতি মেটাবেন কী করে?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: তীব্র গরমে ঘামতে ঘামতে কাহিল? শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে জল। তাপপ্রবাহের কারণে ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে জল ও নুন বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন হয়। শরীর থেকে জল ও নানা খনিজ বেরিয়ে যাওয়াকেই ডিহাইড্রেশন বলে। গরমে শরীরে জল ও নুনের পরিমাণ খুব কমে গেলে বা শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে এই সমস্যা শুরু হয়।
কারও ক্ষেত্রে এ সময়ে শরীর থেকে খনিজ বা সোডিয়াম-পটাশিয়ামের চেয়ে জল বেশি বের হয়। দেহে নুনের ভাগ বেড়ে যায়। একে বলে হাইপার ন্যাট্রিমিক ডিহাইড্রেশন। জল কম বেরিয়ে নুন বেশি বেরলে হাইপো ন্যাট্রিমিক ডিহাইড্রেশন বলা হয়। কেবল জল খেলেই হল না। জলের ঘাটতি মিটল কিন্তু শরীর তার হারানো নুন ফেরত পেল না। সে’জন্য ওআরএস ও জলের সমতা রেখে শরীরকে হাইড্রেট করতে হয়।
জিভ ও মুখের ভিতরটা শুকিয়ে গেলে, প্রস্রাবের রং হলুদ হলে, পেশিতে টান ধরলে বুঝতে হবে দেহে জল ও নুনের ঘাটতি হয়েছে। জল এবং ওআরএস খেয়ে বাড়িতেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।
হিট ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথা ঘোরা, বমিভাব, শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া, সঙ্গে ঘাম ইত্যাদি দেখা যায়। জল, ওআরএস খেয়ে, ঠান্ডা ঘরে রোগীকে রেখে সমস্যা মেটানো যায়। তেষ্টা পেলেই জল খেতে হবে। গরমের দিনে জল পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে রোগীর নানা স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। খুব দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। মাথা যন্ত্রণা, খিঁচুনি ইত্যাদি হতে পারে। এগুলি হলে হাসপাতালে যাওয়া উচিত। শরীরের তাপমাত্রা কিছুতেই ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে না নামলে, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।
রোদ বেরোলে অবশ্যই ছাতা, সানগ্লাস সঙ্গে রাখতে হবে। সানস্ক্রিম মেখে বেরোনো সবচেয়ে ভাল। পর্যাপ্ত জল, ওআরএস সঙ্গে রাখতে হবে। ডাবের জল, আখের রস খেতে পারেন। কোল্ড ড্রিঙ্কস একেবারেই খাবেন না। ছায়া দেখে বিশ্রাম নিন। মাঝেমধ্যেই চোখ, মুখ ও ঘাড়ে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। শিশুদের এই সময় উচ্চ মাত্রায় প্রোটিনযুক্ত খাবার না দেওয়াই ভাল। তীব্র গরম থেকে ফিরেই এসি বা পাখার নীচে যেতে দেবেন না। সাধারণ তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ জিরিয়ে তবে ঠান্ডা ঘরে ঢোকা উচিত। এসির তাপমাত্রা ২৪-২৬-র মধ্যে রাখুন।