পাহাড়ে কমেছে ভোটদানের হার! চিন্তায় গেরুয়া শিবির
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে ভোটদানের হার প্রায় পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে, যা নিয়ে উদ্বিগ্ন গেরুয়া শিবির। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে মোট ৭৮.৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল উনিশের লোকসভা নির্বাচনে। এবার ভোট পড়েছে ৭৩.৬৪ শতাংশ। দার্জিলিং লোকসভা আসনের তিন বিধানসভা এলাকায় ৭০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে। কার্শিয়াংয়ে ৬৭.৬৭ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৬৬.৪৫ ও কালিম্পঙে ৬৫.৮৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাহাড়ে ভোটের হার কমায়, বিজেপির চাপ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। গতবার পাহাড়ে ব্যাপক ভোট পড়েছিল। বিজেপি বিপুল লিড পেয়েছিল। এবার ভোট কম পড়েছে, পাশাপাশি ভোট ভাগাভাগিও হয়েছে। অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, তৃণমূলের সঙ্গে থাকায় বিজেপির চিন্তায় বেড়েছে।
বিপুলসংখ্যক মহিলার ভোটদানে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধির কারণে মহিলাদের সিংহভাগ ভোট তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনে ও পঞ্চায়েত ভোটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কারণে মহিলা ভোট তৃণমূলে গিয়েছে। শিলিগুড়ি সহ গোটা দার্জিলিং কেন্দ্রে শান্তিতে ভোট হওয়ার পরও বিজেপি জয় নিয়ে চিন্তিত। বিজেপির একাংশের মতে, সমতলে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায়, তা বিজেপির বিরুদ্ধে যেতে পারে। ভোটের হার কমা, বিজেপির কাছে অশনি সংকেত হতে পারে।
দার্জিলিং আসনে পাঁচ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ের কথা বলছিল বিজেপি। শুক্রবার ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই, বিজেপি আর সে’কথা বলছে না। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডলের কথায়, পাহাড়ে বিজেপির ভোট কমবে। ব্যবধানও বেশি থাকবে না। তবে বিজেপিই জিতবে। দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, লক্ষ্য ছিল বেলা ১২টার মধ্যে সব মহিলারা যাতে ভোট দিয়ে দেন তা নিশ্চিত করা। দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ ছিল, প্ররোচনায় পা দিয়ে কোথাও অশান্তিতে না জড়ানো। বিজেপি চাইবে অশান্তি করতে। কর্মীরা নিজেদের সংযত রাখায় শান্তিতে ভোট হয়েছে, যা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। তবে বামের ভোট রামে যাওয়ায় শিলিগুড়ি শহরে হয়ত তৃণমূল বেশি লিড পাবে না।
তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা বলেন, পাহাড়ে যে ভোট পড়েছে তার বেশিরভাগই তৃণমূলের ভোট। ভোটের হার বেশি হলে বিরোধী এবং ফ্লোটিং ভোট পড়ত। তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী মণীশ তামাং কিছুই বলছেন না।