এতদিন ‘ভিক্ষা’ বলে ভোট পেরোতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দ্বিগুণের প্রতিশ্রুতি বাম প্রার্থীর!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এ যাবৎ রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পকে ভিক্ষা বলে এসেছে বিরোধীরা কিন্তু ভোট আসতেই তাঁদের মুখে শোনা যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। এক এক দলের দাবি, তাঁরা জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হবে। এবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের মুখেও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’র কথা শোনা গেল। মহিলাদের তিনি বলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে এই প্রকল্পের হাজার টাকা দু’হাজার হয়ে যাবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহিলা ভোটারদের মন পেতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা প্রকল্পকেই হাতিয়ার করছে বিরোধীরা। বিজেপিও এই প্রকল্পে ৩০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক’দিন আগে।
শনিবার সকালে, সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের লাঙলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার করছিলেন সৃজন। সৃজন মহিলাদের বলেন, তাঁরা চান মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান। তার সঙ্গে জিনিসপত্রে যেভাবে দাম বেড়েছে, তা কমানোর জন্য লড়াই করছেন। বামেরা ক্ষমতায় এলে এই টাকা দ্বিগুণ করা হবে। সিপিএমের দ্বিচারিতা ফের একবার প্রমাণিত হল এহেন প্রতিশ্রুতিতে।
তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ এদিন বারুইপুর কাছারি ও পুরাতন বাজারে প্রচার সারেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, ব্যাগ ভর্তি করে বাজারও করেন তিনি। তেলাপিয়া মাছ, কাঁকড়া, চারাপোনা, পাঁঠার মাংস কেনেন। পুরাতন বাজারে থেকে মাগুর ও ভেটকি মাছ কেনেন, পাল্লা দিয়ে চলে জনসংযোগ। বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন, সায়নী বোয়াল মাছ কিনে দেন। কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শনিবার বিকেলে মিছিল শুরু করেন সায়নী। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সায়নীর বাবা ছিলেন প্রার্থীর সঙ্গে। স্থানীয় মন্দিরে তিনি পুজো দেন। হুডখোলা জিপে প্রচার শুরু করেন যাদবপুর এলাকায়।