নিষ্ফলা শান্তনুর আশ্বাসবাণী! CAA-তে জমা পড়ছে না আবেদন, মতুয়া ভোট নিয়ে ভয়ে কাঁটা BJP?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উনিশের লোকসভা থেকে মতুয়া ভোটের সিংহভাগ গিয়েছে বিজেপিতে, সৌজন্যে নাগরিকত্ব ইস্যু। কিন্তু সিএএ লাগু হতে উলোটপুরাণ। পথে নেমে প্রতিবাদ করছেন মতুয়ারা, তাঁদের নিশানায় বিজেপি সরকার। কাজ হচ্ছে না ঠাকুর বাড়ির সন্তানের দাওয়াইতেও। তিনিই নাকি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের নাগরিকত্বের ধারক ও বাহক। মোদীর মন্ত্রিসভার এই সদস্য সিএএ-তে আবেদন করবেন বলেও করেননি, কিন্তু তারপরও নাগরিকত্বের নামে ভোট প্রার্থনা চান। বনগাঁ কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) কোনও বার্তাই মতুয়া (Matua) ভোটারদের মধ্যে দাগ কাটতে পারছে না। সিএএ ইস্যুতে তো নয়ই। বনগাঁ কেন্দ্র থেকে সিএএতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের আবেদন শূন্য। পরিস্থিতি এমন যে, ঠাকুর পরিবারের সদস্যের আবেদনেও কাজ হচ্ছে না। সিএএতে আবেদন করে কারও ক্ষতি না হওয়ার গ্যারান্টি দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হচ্ছে না। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের নির্ণায়ক মতুয়া ভোট নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া শিবির।
উনিশের লোকসভা ভোট, একুশের বিধানসভা, বিজেপির তুরুপের তাস ছিল মতুয়া ভোট। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের নাগরিকত্বের খুড়োর কল বুমেরাং হয়েছে। দেশজুড়েই সিএএ (CAA) নিয়ে ব্যাকফুটে বিজেপি (BJP)। মতুয়া ভোটারদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব ছাড়া গতি নেই, তাই শান্তনু এখনও সিএএ’ই আঁকড়ে থাকছেন। শুক্রবার বারাকপুরে মতুয়া সেবাশ্রমের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, নাগরিকত্ব নিয়ে বড়মা ও ঠাকুরদা আন্দোলন করেছেন। এখনও সেই আন্দোলন চলছে। অনেকে হয়তো ভাবছেন, নাগরিকত্বের জন্য বাংলাদেশের কার্ড লাগবে। কোনও কার্ড লাগবে না। বিশেষজ্ঞরা পাড়ায় ক্যাম্প বসাবেন। তাঁরাই আবেদন করে দেবেন। প্রয়োজনে পরিচিত মানুষ বলে লিখে দেবেন বলেও জানান শান্তনু। শান্তনুর দাবি, মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্ড থাকলে অসুবিধা কোথায়? মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্ডই পরিচয়, আর কোনও কিছুই লাগবে না। তিনি গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছেন। নাগরিকত্বের আবেদন করলে যদি কারও ক্ষতি হয়, সেই ক্ষতিপূরণ তিনি দেবেন। কাজ হচ্ছে না তাতেও।
শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, লম্বা-চওড়া ভাষণ দেওয়ার বদলে বিজেপি নেতারা আগে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করুক। তা করবেন না। কারণ ওঁরা জানেন, আবেদন করলেই বিদেশি হয়ে যাবেন। মতুয়া কার্ড করালেই যদি নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন তা ঘোষণা করেননি? এটা কেন্দ্রের ঘোষণা নাকি ব্যক্তি শান্তনু ঠাকুরের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি? বড়মা আন্দোলন করেছিলেন নিঃশর্ত নাগরিকত্বের জন্য। যে শান্তনু ঠাকুর বড়মার ঘরে তালা দিয়ে গুন্ডামি করেছেন, তাঁর মুখে এসব মানায় না। মতুয়ারা ভোটে উত্তর দেবেন।