বরাহনগরে স্মার্ট প্রচার: ট্যাবে নথিবদ্ধ হচ্ছে সমস্যা, সমাধানের আশ্বাস তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তাঁর লক্ষ্য জনগণের বিধায়ক হওয়া, বরাহনগরের মাটি কামড়ে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল থেকে রাস্তা, নিকাশী থেকে যেকোনও সমস্যা, মুহূর্তে খুলে যাচ্ছে ট্যাব। অভিযোগকারীর নাম ও ফোন নম্বর নাথিভুক্ত হচ্ছে। কোনও সমস্যার আশু সমাধান হচ্ছে। কিছু কিছু ভোটের পর সমস্যা মেটানোর তৃণমূল মিলছে। প্রচারে বেরিয়ে হাত নেড়ে দায় সারছেন না বরাহনগর উপ-নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের কাছে গিয়ে গিয়ে তাঁদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি।
কাউন্সিলারদের ঠিক করে দেওয়া এলাকায় গিয়ে গিয়ে প্রচার করছিলেন সায়ন্তিকা, চলছিল রোড শোও। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রচারে ধরণ পাল্টেছেন তিনি। হ্যান্ডমাইক হাতে পাড়া, অলিগলি চষে ফেলছেন, রান্নাঘরে ঢুকে জড়িয়ে ধরছেন মহিলাদের। বয়স্কদের প্রণাম করছেন। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কি না, এলাকার কী সমস্যা, খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁর সেক্রেটারির সঙ্গে থাকছে ট্যাব। অভিযোগ থাকলে তখনই ডাক পড়ছে স্থানীয় কাউন্সিলারের। কেন সমস্যা, সকলের সামনে জানতে চাইছেন। পুরসভার নিত্যদিনের পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয় থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ, চটজলদি সব সমাধান করে দিচ্ছেন প্রার্থী। রাস্তা, পুকুর সংস্কার, ঘর না পাওয়া ইত্যাদি অভিযোগগুলি নথিবদ্ধ হচ্ছে।
সায়ন্তিকা বলছেন, নির্বাচন চলছে। তিনি লিখে রাখলেন। ভোট শেষ হলেই যোগাযোগ করে সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন। প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছচ্ছেন, তীব্র গরমেও বরানগরজুড়ে চরকি পাক খাচ্ছেন অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিতে ঘাম ঝরছে পোড়খাওয়া কাউন্সিলারদেরও। হাসিমুখে সেলফির আবদার পূরণ, কচিকাঁচাদের অটোগ্রাফ দেওয়া, বাচ্চাদের হাতে লজেন্স দেওয়া, জনসংযোগকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন সায়ন্তিকা। তাঁর নিজের কথায়, প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছে যাওয়া তাঁর নৈতিক দায়িত্ব। তাঁদের কাছে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা বলার পাশাপাশি সমস্যার কথা জানছেন তিনি। সবাইকে বলছেন, একবার ভরসা ঘরে দেখুন। বাড়ির মেয়ের মতোই তিনি পাশে থাকবেন।