সহজসরলভাবে দলের সঙ্গে মিশে মন জয় করেছেন ‘দিদি নম্বর ১’, হুগলিতে তুঙ্গে নেতাকর্মীদের এনার্জি
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: তাঁকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিমের ছড়াছড়ি। তা সত্বেও রাজনীতিতে নভিস কিন্তু সহজসরলভাবে দলের সঙ্গে মিশে নেতাকর্মীদের মন জয় করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী ঘোষণার পর প্রায় একমাস ধরে চলছে প্রচার পর্ব। এখন এমনই উপলব্ধি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের। ফলে হুগলির দাপুটে নেতাদেরও বিশেষ ‘অস্বস্তি’ নেই , তারকা প্রার্থীকে নিয়ে।
হুগলি লোকসভার ফলাফল কী হবে, তা জানা যাবে জুনের ৪ তারিখ। তবে রচনা স্টার ফ্যাক্টর নিয়ে দলের সঙ্গে এবং দলের নেতারা যে মানিয়ে নিয়েছেন তা নিয়ে স্বস্তিতে আছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বও। এই পারস্পারিক সমন্বয় যে ভোট রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর, সেটাই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
তৃণমূল সূত্রের খবর, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের পেশার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এবং খ্যাত হলেও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি তারকাসুলভ ব্যবহার প্রথম থেকেই করেননি। উল্টে খুবই সহজসরলভাবে দলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁর মধ্যে তারকাসুলভ ‘বায়নাক্কা’ এবং ‘ইগো’ও বিশেষ দেখা যায়নি। স্থানীয় নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করার পরিবর্তে তিনি তাঁদের কথামতোই চলেছেন। কর্তৃত্ববাদী মানসিকতাও তার মধ্যে দেখা যায়নি। এতেই দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার স্বর জোরাল হয়েছে। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হুগলিতে এসে সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন এবং স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন, ‘রচনা দিদির পছন্দের প্রার্থী, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই শীর্ষ নেতৃত্ব ওই রকমের বার্তা দিলেও অনেক ক্ষেত্রে সমঝোতার অভাব থাকে। তবে রচনা নাকি নিজগুণে সেই অভাব পূরণ করে দিয়েছেন। তাই তাঁকে নিয়ে সকলেই খুশি।