মোবাইল না পসন্দ কলকাতায় প্রথম হওয়া সোমদত্তার! মুঠোফোন নিয়ে কী বলছেন মাধ্যমিকের কৃতীরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল, কৃতীরা নিজেদের প্রস্তুতির কাহিনি জানাচ্ছেন সংবাদ মাধ্যমে। পনের-ষোলো বছরের ছেলে মেয়েদের মুঠোফোনের প্রতি আকর্ষণ থাকে। কিন্তু এবারের মাধ্যমিকের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীরা বলছেন অন্য কথা।
মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে এবার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ৬ পরীক্ষার্থী জায়গা করে নিয়েছেন। আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ মহারাজের দাবি, স্কুলের ছাত্রদের মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত রাখা হয়। তাকে সাফল্যের কারণ বলে মনে করেন তিনি।
কলকাতার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সোমদত্তা সামন্ত, রাজ্যের মধ্যে তাঁর স্থান দশম। কমলা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাধ্যমিকে পেয়েছেন ৬৮৪ নম্বর। তার বাড়ি পাটুলিতে। মোবাইল ফোনের ধারে কাছে ঘেঁষে না সোমদত্তা। অবসর সময় রবীন্দ্রনাথের গান গুনগুন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকান্ত ভট্টাচার্যদের সৃষ্টি ঘিরে থাকেন তিনি। মেয়েটি মা শর্মিষ্ঠা রায় সামন্ত বলেন, মোবাইল দিলেও নিতে চায় না। ওর কোনও ব্যক্তিগত ফোনই নেই। রাজ্য প্রথম হয়েছেন চন্দ্রচূড় সেন, সে বাড়ির দেওয়ালে লিখে রেখেছে, বই থাকতে ফোন কেন?। (বাংলায় তর্জমা করা হল) সার্বিকভাবে একটাই জিনিস উঠে আসছে মুঠোফোনের নেশা ছেড়েই মিলছে সাফল্য।