মনোনয়ন প্রত্যাহারের ধুম! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অমিত শাহের জয়ের নীলনকশা সাজিয়েছিল BJP?
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2024/05/amit-shah-1024x576.jpg)
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গান্ধীনগর জয়ের স্বপ্ন বুনেছিলেন অমিত শাহ? ঘটনাক্রম তেমনই ইঙ্গিত করছে। বিনা লড়াইতে সুরাত জিতেছে বিজেপি। একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গুজরাতের গান্ধীনগরে। বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের ধুম পড়ে গিয়েছে সেখানে। একের পর এক প্রার্থী সরে দাঁড়াচ্ছেন। কারণ ওই আসনে প্রার্থী খোদ মোদীর সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ! (Amit Shah) গান্ধীনগরে ৩৯ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এখন লড়াইয়ে মাত্র ১৪ জন।
শাহের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা ন’জনের মনোনয়ন প্রথমে বাতিল হয়েছিল। ফের ধাপে ধাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন মোট ১৬ জন। যার মধ্যে ১২ জনই নির্দল। চারজন ছোট রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করা কয়েকজনের দাবি, শাসক দল বিজেপির তরফে নানান রকম চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য।
এমনই এক প্রার্থী জিতেন্দ্র চৌহানের একটি ভিডিও গত ২১ এপ্রিল সামনে এসেছিল। ৩৯ বছরের জিতেন্দ্রকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘গান্ধীনগর আসনে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে অমিত শাহর লোকজন। টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এমনকী অপহরণ পর্যন্ত করা হয়েছিল।’ প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন তিনি। আরও বলেন, ‘সকলের কাছে তাঁর আর্জি—দেশ বিপদের মুখে। দেশকে রক্ষা করুন। পরদিনই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন জিতেন্দ্র। সম্প্রতি এক ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ভোটের লড়াই থেকে সরে আসার জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছিলেন আমেদাবাদের বাপুনগরের বিজেপি বিধায়ক দীনেশ সিং কুশওয়া। দীনেশ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আগামী ৭ মে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। গুজরাতের ২৬ আসনের মধ্যে ২৫টিতে ভোটগ্রহণ হবে। সুরাতে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। ১৯৮৯ সাল থেকে গান্ধীনগরে একবারও হারেনি বিজেপি। ২০১৯ সালে সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন শাহ। প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে জোর করার অভিযোগ স্বাভাবিকভাবে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তিনজন প্রার্থীর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে তাঁদের। জিতেন্দ্র বলেছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনেক কারণ রয়েছে। বাড়িতে তিন কন্যাসন্তান রয়েছেন। তাঁর কিছু হলে ওদের কী হবে? সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার অভিযোগ আনছেন দুই প্রার্থী। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা বাকি ১৩ জন অবশ্য ভয় দেখানো বা চাপ দেওয়ার কথা জানাননি। প্রজাতন্ত্র আধার পার্টির প্রার্থী সুমিত্রা মৌর্যকেও ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।