পাণ্ডুয়া-মঙ্গলকোটে রাজ্য থেকে গেরুয়া শিবিরকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার ডাক দিলেন অভিষেক
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: অমিত শাহের বঙ্গ সফরের দিনই বিজেপিকে ‘ভাঙা’র হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
সোমবার জোড়া সভার কর্মসূচি ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রথম জনসভা করেছেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে। দ্বিতীয় সভাটি অভিষেক করছেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে।
পান্ডুয়ার জনসভায় গল্প বলেন অভিষেক। সাধুর মন্ত্রের জোরে ইঁদুরের বাঘ হয়ে ওঠার গল্প বলে অভিষেক জনতার উদ্দেশে আর্জি জানান বিজেপিকে বাঘ থেকে ফের ইঁদুর করে দিতে। মানুষ বিজেপিকে বাঘ করে দেওয়ার পর তারা ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পাশাপাশি, মঙ্গলকোটের সভা থেকে ফের একবার ‘বহিরাগতদের বিসর্জনে’র ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সভামঞ্চ থেকে অভিষেকের বলেন, “এদের বিসর্জন সুনিশ্চিত করতে হবে। সাতদফায় ভোট। প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ওদের মাথা ভেঙেছে। রায়গঞ্জ আর বালুরঘাট ঘাড়টা ভেঙেছে। তৃতীয় দফায় মালদহের দুটি আর মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে ভোট। সেখানকার মায়েরা, ভাইয়েরা এদের মেরুদন্ড ভাঙবে।” এর পর বর্ধমান, বীরভূমবাসীর কাছে তাঁর আর্জি, “আপনাদের ভোট চতুর্থ দফায়। আপনারা কোমরটা ভাঙবেন। পঞ্চম দফায় হাওড়া, হুগলি-তে ভোট। হাঁটু ভাঙা হবে।” ২৫ মে অর্থাৎ ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল। জঙ্গলমহলের মানুষজন ‘বিজেপির পা ভাঙবে’ বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। তাঁর হুঙ্কার, “সপ্তম দফায় আমি আছি। ডায়মন্ড হারবার। এদের ঔদ্ধত্য, অহংকার আর দম্ভটা চূর্ণ বিচূর্ণ করে বলো হরি, হরি বোল। বলো হরি, হরি বোল বহিরাগতদের…” সবমিলিয়ে সাতদফা ভোটে রাজ্য থেকে গেরুয়া শিবিরকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দেওয়ার ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।