একজন মাত্র ভোটার, তাঁর জন্যই তৈরি হয় ভোটকেন্দ্র! গির অরণ্যে বানেজ গ্রাম কাহিনি জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একজন মাত্র ভোটার, তাঁর জন্যই তৈরি হয় ভোটকেন্দ্র! গির অরণ্যের অভ্যন্তরে বানেজ গ্রামের একমাত্র ভোটারের জন্য বুথ গড়া হয়। মঙ্গলবার নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন পেশায় পুরোহিত মহন্ত হরিদাস উদাসীন। পরনে গেরুয়া পোশাক, কপালে চন্দনের প্রলেপ। ভোট দেওয়ার পর হাসিমুখে ছবিও তুলেছেন তিনি। তিনি ওই বুথের একমাত্র ভোটার। ভোট দেওয়ার পর মহন্ত হরিদাস বলেছেন, মাত্র একজন ভোটারের জন্য ১০ জনের একটি দল জঙ্গল পেরিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে এসেছেন। এ’থেকেই প্রমাণিত, কমিশনের কাছে প্রতিটি ভোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এবার গোটা দেশে ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮০ লক্ষেরও বেশি। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য, দেশের প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছানো। ভোটার যেখানেই থাকুন না কেন, তাঁর ভোটদান নিশ্চিত করবে কমিশন। মহন্ত হরিদাস যাতে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছে কমিশন। বিপন্ন এশিয়াটিক সিংহের আবাসস্থল হল গুজরাতের গির অরণ্য। ভোটের কর্মকর্তাদের গির অরণ্যে (Gir forest) দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। দু’দিন ধরে জঙ্গলের কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে তাঁরা পৌঁছন।
৪২ বছরের মহন্ত হরিদাস মধ্যাহ্নভোজের আগেই মঙ্গলবার বুথে পৌঁছে যান ভোট দিতে। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। প্রিসাইডিং অফিসার পাধিয়ার সুরসিংহ বলেছেন, গণতন্ত্রে প্রত্যেক ভোটারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যাতে তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করাই তাঁদের কর্তব্য। তার জন্য এত দুর্গম পথ পেরতে হলেও কোনও সমস্যা নেই। প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বনবিভাগের অফিসে তাঁদের পৌঁছতে হয়। সেখানে ভোটকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছিল। ওই অঞ্চলে মোবাইলের কোনও নেটওয়ার্ক ছিল না। তিনি জানিয়েছেন, একটি আপাত পরিত্যক্ত বাড়িতে তাঁরা রাত কাটিয়ে। খাটের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদের শুতে হয়েছে মেঝেতে। খাবার ছিল ডাল-রুটি। মহন্ত হরিদাস উদাসীনের ভোটদানের পর তাঁদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করছেন ভোটকর্মীরা।