মানিকতলা উপনির্বাচনে রইল না বাঁধা! BJP নেতা কল্যাণ চৌবেকে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ আদালতের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জট কাটল মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনের, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবেকে মামলা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর ওই আসন ফাঁকা হয়। ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি ইস্তফা দিলে বা তাঁর মৃত্যুর কারণে কোনও কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হলে, শূন্যতা তৈরির দিন থেকে ছ’মাসের মধ্যে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা বাধ্যতামূলক। সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তেমনটা হয়নি। গত বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডে মানিকতলা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর, গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে (kalyan chaubey) কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেন।
হাইকোর্টে মামলা করলেও শুনানিতে বার বার মুলতবি চাইছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কল্যাণ। ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়, দৈনিক শুনানি করে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। ৩০ জুন সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয় শীর্ষ আদালত। গত ২৯ এপ্রিল, হাইকোর্টে দায়ের হওয়া ইলেকশন পিটিশন প্রত্যাহারের আবেদন জানান কল্যাণের আইনজীবী। তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণে মামলা তুলে নিতে চান মক্কেল। এরপর চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। কল্যাণ চৌবের মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ নেয় কলকাতা হাইকোর্ট।