স্বার্থ চরিতার্থ করতে ১০ কোটি বাঙালিকে ১৪০ কোটি ভারতীয়র সামনে ছোট করছে BJP- উলুবেড়িয়ায় আগ্রাসী মেজাজে অভিষেক
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: দলীয় প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে আজ উলুবেড়িয়ায় জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। জানান, “৪ জুন দিল্লিতে পরিবর্তনের সরকার আসছে। সেই সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করতে চলেছে বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষ হবেন চালিকা শক্তি। ২০ তারিখ বাংলার দশ বছরের লাঞ্ছনা, বঞ্চনার বিরুদ্ধে জবাব দিন।”
সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিষেক বলেন, “মাতৃশক্তি, নারীশক্তি যাঁর সাথে থাকে; কোনও চক্রান্ত, কোনও ষড়যন্ত্র তাঁকে আটকাতে পারে না।” ফোন থেকে বিজেপি নেত্রীর লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের হুমকি শুনিয়ে অভিষেক বলেন, “যতদিন বাংলায় মা-মাটি-মানুষের সরকার থাকবে, ততদিন বাংলার মায়েরা, মেয়েরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন।” বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেকের প্রশ্ন, “দশ বছরের রিপোর্ট কার্ডটা কোথায়?” সন্দেশখালি নিয়ে এদিনও সুর চড়ান অভিষেক বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ১০ কোটি বাঙালিকে ১৪০ কোটি ভারতীয় সামনে ছোট করছে বিজেপি, বাংলার সম্ভ্রম দু’হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে যাঁরা, তাঁদের জবাব দেবেন কিনা!”
এরপরই দিদির গ্যারান্টির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অভিষেক, বলেন, “হাওড়া জেলায় দেড় লক্ষ শ্রমিকের একশো দিনের টাকা বন্ধ করে রেখেছিল মোদী সরকার। সেই প্রাপ্য টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার।” তিনি জানান হাওড়া জেলায় প্রায় এগারো লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পান। খরচ হচ্ছে ১,৫৭০ কোটি টাকা। হাওড়া জেলায় সাড়ে চোদ্দ লক্ষ বোনেরা কন্যাশ্রী পায়। হাওড়ায় প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে রেশন দিচ্ছে বাংলার সরকার।
আবাস, একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়েও সুর চড়ান তৃণমূল নেতা।
এরপর কীর্তি আজাদের সমর্থনে রোড-শো করেন অভিষেক। তপশিলি, দলিতদের উপর আক্রমণ নিয়েও সরব হন অভিষেক বলেন, “উত্তরপ্রদেশে দলিতদের উপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হয়। যোগী রাজ্যে তের হাজারের বেশি দলিতদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।” এরপরেই বলেন, “কীর্তি আজাদ বিজেপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বলেছিলেন ব্যবস্থা নিতে। অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। বিজেপির সবচেয়ে ভাল সময় তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন।”