রাজ্যপাল ডাকলে আর যাব না, আপনি ইস্তফাটা কবে দেবেন? সপ্তগ্রামে আনন্দ বোসকে আক্রমণ মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ হাওয়া ও হুগলিতে জোড়া নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী। হুগলির সপ্তগ্রামের মঞ্চ থেকে নিশানা করেন রাজ্যপালকে। শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে, সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আমাকে রাজ্যপাল ডাকলে আর যাব না, পাশে বসব না। রাস্তায় ডাকবে, রাস্তায় গিয়ে দেখা করে আসব। যা কীর্তি শুনছি, আপনার পাশে বসাও পাপ!” রাজ্যপালের ইস্তফার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। পদত্যাগ করা উচিত রাজ্যপালের, এমনই দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সপ্তগ্রামের সভা থেকে মমতার হুঁশিয়ারি, “ভয় পাবেন না কপিটা আমার কাছে আছে। আমি রেখেছি। যেটা এডিট করেছেন সেটাও আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরোয়নি। আর একটা পেন ড্রাইভ আমি পেলাম।” মমতার প্রশ্ন, “একজন মহিলা উপর অত্যাচার করার আপনি কে? মাননীয় রাজ্যপাল, আমার কী দোষ আপনি বলুন? আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। আমাকে বলছেন, দিদিগিরি চলবে না। আপনি ইস্তফাটা কবে দেবেন?”
সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে এদিনও আক্রমণাত্মক ছিলেন মমতা, “সন্দেশখালিতে কী হয়েছিল, আপনারা সবাই দেখেছেন, ওখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। একটা মেয়ের আত্মসম্মান চলে গেলে আর ফিরে আসে না। সে জানেও না, তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটা আগেকার দিনে হত। বেচারা জানতেই পারত না।”
বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে মমতার দাবি, “ফোন করে আমাদের নেতাকে বলেছে, যদি বসে না যাস তাহলে ভোটের পর দেখে নেব। তৃণমূল কাউকে ভয় পায় না। ৩৪ বছর লড়াই করে সিপিএমকে যদি ছুড়ে ফেলতে পারি, তাহলে আপনাকেও ভারতবর্ষ থেকে ছুড়ে ফেলে দেব, এটা মাথায় রাখবেন।” তৃণমূল নেত্রী বলেন, “তৃতীয় দফার পর তো চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এসেছে। আরও দেখতে থাকুন।” মোদী সরকারের পতন আসন্ন বলেই মত মমতার।
আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে মমতা বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার চলবে সারা জীবন। বলছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার তুলে দেব। আমি বলি, হাতটা দিয়ে দেখো, তার পর কী করি… সারা জীবন আমি কম মার খাইনি। কিন্তু আমাকে ধমকে, চমকে কাজ হবে না। আপনি যদি চমকে বলেন, এটা করতে হবে। ঠাসিয়ে দু’টো চর মারব। আমি ঘরেও শাসন করি বাইরেও করতে পারি।”