ফের বঞ্চিত বাংলা! রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের কেরোসিনের বরাদ্দ অর্ধেকেরও কমে নামাল মোদী সরকার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনের মাঝে আবারও মোদী সরকারের বঞ্চনার শিকার হল বাংলা। এ রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের কেরোসিনের বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেকেরও কমে নামিয়ে আনল মোদী সরকার। শুধু এপ্রিলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৫৮ হাজার কিলোলিটার কেরসিন। পেট্রলিয়াম মন্ত্রক ক’দিন আগেই রাজ্য খাদ্যদপ্তরকে চিঠির মাধ্যমে দিয়েছে, মে ও জুন মাসের জন্য ৩৯,২১২ কিলোলিটার তেল বরাদ্দ করা হল। মাস পিছু বরাদ্দ নামিয়ে আনা হয়েছে ২০ হাজার কিলোলিটারেরও কমে। হাইকোর্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য খাদ্যদপ্তর তাদের যে পরিমাণ কেরোসিনের চাহিদার কথা জানাবে, তা পর্যালোচনা করেই কেন্দ্র সরকারকে বরাদ্দ করতে হবে। রাজ্যের জন্য কেরোসিন বণ্টন নীতি তৈরি না করা অবধি, কেন্দ্রের মোদী সরকারকে এই ব্যবস্থা চালাতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রাজ্যের খাদ্যদপ্তর সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কাছে যে পরিমাণ চাহিদার কথা জানানো হয়েছিল তার থেকেও অনেক কম বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাংলার কেরোসিনের বরাদ্দ মাসে ৫৮ হাজার কিলোলিটারের কিছু বেশি। কেরোসিন বরাদ্দ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা চলছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও কেরোসিন নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। কেরোসিন ডিলারদের সংগঠনের অভিযোগ, মোদী সরকার (Modi govt) যে’নীতি নিয়ে চলছে তাতে গরিব রেশন গ্রাহকরা কেরোসিন কিনতে পারছেন না। প্রতিমাসেই দাম বাড়ানো হচ্ছে। ডিলার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্তের মতে, দাম বৃদ্ধির জেরে চাহিদা কমে গিয়েছে। মাসের অনেকগুলি দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার কেরোসিন (kerosene) বরাদ্দ করেছে। যার জেরে কয়েকমাস ধরে বরাদ্দকৃত কেরোসিনের পুরোটা তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এর সুযোগ নিয়েই মোদী সরকার বরাদ্দ ব্যাপক হারে কমিয়ে আনল। গরিব মানুষ এবার কাঠ, কয়লা প্রভৃতি পুড়িয়ে রান্না করতে বাধ্য হবে, দূষণ আরও বাড়বে।