ভারতীয় পুরাণে উল্লিখিত ‘সিঙ্গল’ মায়েরা
‘সিঙ্গল মাদার’ কথাটা এখন খুব প্রচলিত হলেও ভারতবর্ষে আসলে এই বিষয়টা কিন্তু নতুন নয়। পুরাণেও আছে এই সিঙ্গল মায়েদের উল্লেখ। হয়তো তার জন্যে কোন প্রচলিত শব্দ সেই সময় ব্যবহার করা হত না। কিন্তু নামে কি এসে যায়? তাদের সিঙ্গল মাদার বলা যেতেই পারে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক পুরাণে উল্লিখিত কয়েকজন ‘সিঙ্গল’ মায়েদের তালিকা:
সীতা
সিঙ্গল মায়ের কথা শুনলে প্রথমেই পুরাণের যে চরিত্রের কথা মাথায় আসে তিনি হলেন সীতা। তিনি একাই বনে তাঁর দুই সন্তান, লব-কুশকে বড় করে তোলেন। রাজত্ব, বিলাসিতা, সুখভোগ থেকে অনেক অনেক দূরে।
শকুন্তলা
শকুন্তলা ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র এবং অপ্সরা মেনকার পরিত্যক্ত কন্যা। সেই জ্বালা নিজে বুঝতেন বলেই তাঁর স্বামী রাজা দুস্মন্ত তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেও, তিনি কখনো তাঁর একমাত্র পুত্র ভরতকে পরিত্যাগ করেননি। ভন্ড সমাজ থেকে অনেক দূরে বনের মধ্যে একাই নিজের সন্তানকে বড় করে তোলেন তিনি।
জাবাল
জাবাল ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক ঋষি সত্যকাম জাবালের মা। এই মহীয়সী নারী শুধু তাঁকে জন্মই দেননি বরং সুশিক্ষায় বড় করে তোলেন। তাঁকে তাঁর নাম পরিচয় প্রদান করেন। জাবাল যখন ঋষি গৌতমের কাছে শিক্ষার্জনের জন্যে যান, তাঁকে তাঁর বাবার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সেই উত্তর দেন যা তাঁর মা তাঁকে দিয়েছেন। “আমি জানি না তোমার বাবা কোথায় আছে। কিন্তু আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি। আমি তোমার মা। তুমি জাবালের সন্তান।
কুন্তি
পাণ্ডুর মৃত্যুর পর, কুন্তি বিধবা বেশে পাঁচ সন্তানকে মানুষ করেন। যুদ্ধের মাঠে না হলেও কুন্তি তাঁর পাঁচ সন্তানের সাথে শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যান ধর্মের পক্ষে, অন্যায়ের বিরূদ্ধে।