রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

“আমরা বলছি মতুয়ারা সবাই দেশের নাগরিক” – বনগাঁ পুনরুদ্ধারের সুর বেঁধে দিলেন অভিষেক

May 12, 2024 | 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রবিবার জোড়া সভা করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের প্রথম সভাটি ছিল মতুয়া গড় বনগাঁয়। অভিষেক দ্বিতীয় সভা করেন হাওড়ায়, দলীয় প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Prasun Banerjee) সমর্থনে। বনগাঁর সভায় তিনি বলেন, “যতদিন মা মাটি মানুষের সরকার থাকবে ততদিন বুক দিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার রক্ষা করা হবে।” বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষমতায় এলে দেশে ৫০ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হবে বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে অভিষেক জানান, দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারকে বছরে দশটি গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেবে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সরকার। সন্দেশখালি স্টিং ভিডিও নিয়ে অভিষেকের মত, “সন্দেশখালিই প্রমাণ করল বিজেপি জালি।”

বনগাঁয় দাঁড়িয়ে এক যোগে বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ শান্তুনু ঠাকুর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করে বলে গিয়েছেন মতুয়ারা শরণার্থী। আর আমরা বলছি মতুয়ারা সবাই দেশের নাগরিক। এটাই পার্থক্য।”

সিএএ (CAA) নিয়ে বনগাঁর জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেক বলেন, “নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পাঁচ দিন আগে এরা (BJP) নাগরিকত্ব দেবে বলে ফর্ম নিয়ে এসেছিল। আজ দু’মাস কেটে গেল। এরা বলেছিল তৃণমূল চায় না না আপনি নাগরিকত্ব পান। বলুন তো আপনারা, এই দু’মাসে তৃণমূল কাউকে ফর্ম ফিল আপ করা থেকে আটকেছে? আটকায়নি। কিন্তু আপনি আমায় দেখান, বিজেপির কোনও বুথের কোনও নেতা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন।”

বনগাঁর সভা থেকে বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক প্রশ্ন, “শান্তনু ঠাকুর গত পাঁচ বছরে মতুয়া ভাইদের জন্য কী করেছেন?” বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে নিজের বুথে হেরেছেন। সে কথা উল্লেখ করে বনগাঁর মানুষের উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেন, আগামী ২০ মে ভোট দিয়ে শান্তনুকে শেষ জবাব দিন।

অভিষেকের প্রশ্ন, “যাঁরা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ, শ্রী শ্রী গুরুচাঁদকে ঈশ্বর বলে মানেন না, তাঁদের কি ভোট দেবেন?” উল্লেখ্য, রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পুজোয় ঠাকুরবাড়ির জল ও মাটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে হরিচাঁদ এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে শপথগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#election campaign, #Election Commision of India, #abhishek banerjee

আরো দেখুন