কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

বাঘের দেবতা বনবিবির পুজোয় মাতলেন নগেনাবাদের মৎস্যজীবীরা

May 15, 2024 | < 1 min read

বাঘের দেবতা বনবিবির পুজোয় মাতলেন নগেনাবাদের মৎস্যজীবীরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঘের দেবতা বনবিবির পুজোয় মাতলেন নগেনাবাদের মৎস্যজীবীরা। মৈপীঠের প্রত্যন্ত গ্রাম নগেনাবাদ, কয়েক হাজার মৎস্যজীবীর বসবাস করেন তাঁরা। মাছ-কাঁকড়া ধরে তাঁদের পেট চলে। মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। প্রাণও হারান অনেকেই। বাঘের হামলা থেকে রেহাই পেতে বাঘের দেবতা বনবিবির পুজো করেন সুন্দরবনের বাসিন্দারা। তাঁদের বিশ্বাস, বনবিবি তাঁদের বাঘের হাত থেকে রক্ষা করেন। সুন্দরবনে দেবীর পুজো হয় ঘটা করে।

মৈপীঠের (moupeeth) নগেনাবাদে বনবিবির পুজো এবার ৬৫ বছরে পা দিল। পুজো উপলক্ষ্যে তিনদিন ধরে চলছে উৎসব। মানুষ দেবীর কাছে মানত করেন। মানত পুরণ হলে নদীতে মোরগ স্নান করান। তারপর ছেড়ে দেন জঙ্গলে। মানত করা মোরগ বাঘের খাদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বনবিবির পুজোয় প্রায় এক লক্ষ মানুষ সামিল। বনবিবির (bonbibi) সঙ্গে নারায়ণ, বিশালাক্ষী, গঙ্গা, গাজীবাবারও পুজো হয়। মাকরি নদীর পাড়ে আজমলমারি জঙ্গলে টিনের ছাউনি দেওয়া দরমার মন্দিরে বৈশাখ মাসের সংক্রান্তির দিন পুজো হয়। ৪৫ মিনিট নৌকায় চেপে নদীপথে যেতে হয়। হাঁটাপথে আরও কয়েক কিলোমিটার কাদাপথ গেলে মন্দিরের দেখা মেলে। মৈপীঠ, কুলতলি, জয়নগর ও অন্যান্য জায়গা থেকেও মানুষ আসেন পুজো দিতে। পুজোর জন্য নৌকায় ফ্রি সার্ভিস দেওয়া হয়।

গ্রামের বাসিন্দারা পুজো ও উৎসবের আয়োজন করেন। স্বামী, পুত্রর মঙ্গলকামনায় মহিলারা পুজো দেন।
মেলা ও পুজোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#sundarbans, #Bonbibi, #moupeeth

আরো দেখুন