অন্যান্য লোকসভা কেন্দ্রে বিরোধী প্রার্থীদের ‘খামোশ’ করতে মাঠে নামছেন শত্রুঘ্ন!
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: চতুর্থ দফায় শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ এবং শর্মিলা সরকারের কেন্দ্রগুলোয় ভোটপর্ব শেষ হয়েছে। এবারে এই তিন প্রার্থী ছুটছেন তৃণমূলের অন্যান্য প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে।
কপিল দেবের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে ভারত প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে। সেই দলের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন কীর্তি আজাদ। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী করেছিল বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। গত ১৩ই মে তাঁর কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ. তাই তিনি এবার বারাকপুরে বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিংকে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছেন। কীর্তি আজাদ হলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে এবং তিনি নিজে দিল্লির একবারের বিধায়ক ও বিহারের দ্বারভাঙার তিনবারের সাংসদ।
ডাঃ শর্মিলা সরকার পেশায় বিশিষ্ট মনোবিদ। তিনি এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে। শর্মিলা সরকারের নামডাক চিকিৎসা মহলে রয়েছে। রাজনীতিতে আনকোরা হলেও ধীরে ধীরে সুবক্তা হয়ে উঠেছেন শর্মিলা। তিনি জানান ১৭ই মে যাচ্ছেন আরামবাগে মিতালি বাগের হয়ে প্রচার করতে এবং মেয়েদের উন্নয়নের কথা বেশি করে তুলে ধরবেন বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই আসানসোলে ভোট প্রচারে নামেন বিগত দিনের সুপারস্টার ও তৃণমূলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। চতুর্থ দফায় শত্রুঘ্ন সিনহারও ভোট শেষ হয়েছে। সিনেমাপ্রেমী বাঙালি হৃদয়েও শত্রুঘ্ন। পরিচিত মুখ সূত্রের খবর, ২০-৩০মে ১১ দিন বাংলার বিভিন্ন লোকসভায় প্রচার করবেন শত্রুঘ্ন। মেদিনীপুরের খড়্গপুর, বারাকপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে দিয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন।