“নন্দীগ্রামে যে প্রতারণা হয়েছে, আজ নয়ত কাল তার বদলা আমি নেবই”- হলদিয়ায় হুঙ্কার মমতার
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: তমলুকের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে হলদিয়ায় জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উত্তম বারিকের সমর্থনেও জনসভা করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর রোড-শোও ছিল আজ।
মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রীর হুঙ্কার, “নন্দীগ্রামে যে প্রতারণা হয়েছে, আজ নয়ত কাল তার বদলা আমি নেবই। কখন নেব, কীভাবে নেব, তা সময় ঠিক করবে।”
নাম না-করে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জের সুরে মমতা বলেন, “নন্দীগ্রামে ওরা সেদিন লোডশেডিং করিয়ে জিতেছিল। ডিএম বদলে দিয়েছিল। সে কথা আমি ভুলিনি। এর বদলা আমি নেব। আজ না হয় কাল এর বদলা নেবই। চিরকাল বিজেপি থাকবে না। চিরকাল, ইডি-সিবিআই কোলে করে রাখবে না। চিরকার এনআইএ, ইনকামট্যাক্স পাশে থাকবে না। এর বদলা আমি নেবই।’’ মমতা আরও বললেন, “পার্টির নামে টাকা চাইলে দেবেন না। আমার পার্টি আপনাদের টাকা চাইবে না। আমাদের যতটা ক্ষমতা ততটাই করব। বিজেপির মতো বিজ্ঞাপন দিই না। তবে আমাদের কাছে বেশি এক্সপেক্ট করবেন না। আমরা কারও পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে আসতে পারব না।”
অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “যখন তৃণমূল কংগ্রেস করি বাপও ছিল না, ব্যাটাও ছিল না। এখানে ছিল অখিল গিরি। ওরা কংগ্রেসে ছিল। আমাদের হাত ধরে জেতার আগে ওরা অনেকবার হেরেছে। এখন বিজেপিতে গিয়েছে টাকা বাঁচানোর জন্য।”
মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, “মোদীকে আমি মোদীবাবু বলব না। বলব গ্যারান্টি বাবু। যেমন গদ্দার বলি, নাম নিই না। তেমনই এখানেও আমি নাম নেব না। আমি গ্যারান্টিবাবু বলব। তিনি কী বললেন, বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছেন। দু’বছর ধরে এক টাকাও দিচ্ছেন? আমি বলছি হয় আপনি ক্ষমা চান, না হলে বলুন আপনি টাকা দিয়েছেন চালের। ফোর টোয়েন্টি নতুন গ্যারান্টি। টিভিতে, কাগজে, বিজ্ঞাপনে সর্বত্র বলছে বিনা পয়সায় গ্যাস দিয়েছে। দিয়েছে? তার মানে গ্যারান্টি বাবু, ফোরটোয়েন্টি গ্যারান্টি, গ্যাস বেলুনের থেকেও বড় গ্যাস বেলুন, নো গ্যারান্টি। বলুন তো বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দেবে বলেছিল, দিয়েছে? তার মানে নো গ্যারান্টি ফোর টোয়েন্টি। মোদী জিতবে না। যদি জিতে যায়, তাহলে গ্যাসের দাম ২০০০ টাকা হয়ে যাবে। বাহবা গ্যারান্টিলাল, বাহবা গদ্দার দালাল।”
দিঘার উন্নয়নের ছবি তুলে ধরেন মমতা, বলেন, “দিঘাতে কে সৈকত সরণী করেছে? বম্বের মতো মেরিন ড্রাইভ? তিনটে সেতু তৈরি করতে হয়েছে। সস্তার কাজ এগুলো নয়। শয়ে শয়ে কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তাই এখন দিঘায় এলে লোকে বলে কী ছিল আর কী হয়েছে। দিঘায় জগন্নাথের মন্দির থেকে শুরু করে দিঘা গেট থেকে শুরু করে, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়়িতে গ্যালারি, পিছাবনী স্মৃতিসৌধ আরও অনেককিছু করেছি। যে ভাবে আমি দিঘা, হলদিয়া, নন্দকুমার, নন্দীগ্রামকে সাজিয়ে দিয়েছি, খেজুরিকে সাজিয়েয়েছি…খেজুরিতে আগে কী করত। এখন ওখানে মস্তানি করছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘মনে রাখবেন, আমি এখানে অনেক কাজ করেছি। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন করেছি। আমি না থাকলে দিঘা-তমলুক হত না। নন্দীগ্রামে যখন এসেছি, তখন কেউ আসেনি। এখানে কলেজ থেকে শুরু করে জলের লাইন, মাছের ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য পরিকাঠামো সব করেছি আমি।’’